Monday, August 25, 2025

প্রয়াত সিপিআই-এর প্রাক্তন সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্ত। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা নাগাদ নিউটাউনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে তিনি পাঁচবারের সাংসদ ছিলেন। সংসদের বিভিন্ন অধিবেশনে বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্য এবং যুক্তি দিয়ে বিরোধীদের যুক্তি খণ্ডন করার ক্ষেত্রে গুরুদাস দাশগুপ্তের গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলে সুনাম ছিল।

ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন গুরুদাসবাবু। ১৯৮৫ সালে প্রথমবারের জন্য রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। সিপিআই-এর শ্রমিক সংগঠন এআইটিআইসির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ২০০১ সালে। ২০০৪ সালে ১৪ তম লোকসভায় পাঁছকুড়া থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ১৫ তন লোকসভায় ঘাটাল থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন টুজি কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্তে যুগ্ম সংসদীয় কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি।

বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন গুরুদাস দাশগুপ্ত। চেতলার বাসভবনে হাঁটতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। তখন বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। জানা গিয়েছিল, মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। এছাড়াও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যাও ছিল।

গুরুদাস দাশগুপ্তের জন্ম ১৯৩৬ সালে, বাংলাদেশের বরিশালে। বাবার নাম দুর্গাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত এবং মায়ের নাম নীহারদেবী। প্রথমে কলকাতার আশুতোষ কলেজ থেকে তিনি স্নাতক হন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম কম পাস করেন গুরুদাস দাশগুপ্ত। ১৯৬৫ সালে জয়শ্রী দাশগুপ্তের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।

গুরুদাস দাশগুপ্তর মত একজন নিষ্ঠাবান ও সৎ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে। তাঁর মৃত্যুতে বাংলা রাজনীতির একটি যুগের অবসান ঘটল।

Related articles

শ্রমশ্রী প্রকল্পে ভুয়ো আবেদন রুখতে কড়া নজরদারি রাজ্যের 

ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত শ্রমশ্রী প্রকল্পে প্রকৃত ও যোগ্য প্রার্থীরাই সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ...

আদিবাসী উন্নয়ন আরও সুদূর প্রসারি করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, সৌজন্য উড়িয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপি

আদিবাসী উন্নয়ন নয়, রাজনীতিই যে তাদের লক্ষ্য তা আরও একবার প্রমাণ করল বিজেপি (BJP)। আমন্ত্রণ পেয়েও সৌজন্যের জবাব...

DHFC-র হারের পরই ক্লাব থেকে কর্তাদের ছোট করার চেষ্টা, জবাব দিলেন মানস

ডুরান্ড কাপের(Durand Cup) ফাইনালে পৌঁছে সকলকে চমকে দিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। বাংলার ফুটবলকে যে দল নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে, তাদের...

আধারের অভাবে রেশন বঞ্চনা নয়, কড়া নির্দেশ খাদ্য দফতরের 

আধার কার্ড না–থাকা বা বায়োমেট্রিক যাচাই না–হওয়ার কারণে আর কোনও বৈধ রেশন গ্রাহককে খাদ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত...
Exit mobile version