জলা ভরাটের বিরুদ্ধে মামলা এক রিকশাচালকের, রাজ্যের বক্তব্য তলব

সরকারি জলাভূমি। তাতে কী ? সেই জলাভূমি-ই প্রকাশ্যে ভরাট হচ্ছে প্রভাবশালীদের মদতে। সেই সব তথাকথিত প্রভাবশালী এবং প্রোমোটারের ভয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউই ন্যূনতম অভিযোগ বা প্রতিবাদ জানাতেও পারছেন না।

সবাইকে লজ্জিত করে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে এলেন এক রিকশাচালক। ওই রিকশাচালকের রুজু করা মামলাতেই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের বক্তব্য তলব করেছে।

লেকটাউন এলাকার পাতিপুকুরে একটি 33 কাঠা জলাজমি নিয়েই এই মামলা। বেশ কিছু দিন আগে এই জলা’কে খাসজমি হিসেবে সরকার চিহ্নিত করে। তারপরই সেই জমি জঞ্জাল ফেলে ভরাট করা শুরু হয়েছে। স্থানীয় মানুষ ভরাটের বিরোধিতা করে প্রশাসনের কাছে দরবার করে। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরেও অভিযোগ জানায়। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর ভরাট করার কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। বারাকপুরের SDO জলাভূমি থেকে জঞ্জাল তুলে ফেলে জলাটি আগের অবস্থায় ফেরানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু কোনও নির্দেশেই কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ওই জলা ভরাটে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সরাসরি মদত থাকায় ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতেও সাহস পাননি। শেষ পর্যন্ত বাঙুর অ্যাভিনিউয়ের এক রিকশাচালক, চিত্তরঞ্জন সরকার এই জলাভূমি ভরাটের প্রতিবাদে জনস্বার্থ মামলা করতে এগিয়ে আসেন। যোগাযোগ করেন হাইকোর্টের আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। হাইকোর্টে মামলা করার সময় চিত্তরঞ্জনবাবু নিজে এসে সইও করেন। এই মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির এজলাশে। সওয়াল শেষে 2 বছর আগে SDO ভরাট জিনিসপত্র তুলে ফেলে ফের পুরোনো অবস্থা ফেরানোর নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন তা কার্যকর হয়নি, তার কারন রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছে আদালত। এ ব্যাপারে পুলিশ এবং ভূমি সংস্কার দপ্তরকে 2 সপ্তাহের মধ্যে নিজেদের বক্তব্যও হলফনামায় জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Previous articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleদার্জিলিং-এ রয়াল বেঙ্গল? তল্লাশি শুরু