মধ্য রাতেই কিং খানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

‘বলিউড বাদশা’ শাহরুখ খানের à§«à§© তম জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক রাত বারোটায় কিং খানকে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী। সম্ভবত এবার জন্মদিনে এটাই শাহরুখের জন্য প্রথম শুভেচ্ছা বার্তা।

কিং খানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা যা জানিয়ে মমতা তাঁর টুইট হ্যান্ডলে লেখেন, “জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা, শাহরুখ। সুস্থ থেকো, ভালো থেকো। জীবনে আর অনেক উন্নতি করো। তোমাকে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত। তোমার ছবি যেন ভবিষ্যতেও আমাদের মন জয় করে। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৯-এ দেখা হবে।”

‘বলিউড বাদশা’ শাহরুখ খান ১৯৬৫ সালের ২ নভেম্বর দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথমদিকে টেলিভিশনে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে পথচলা শুরু করেন তিনি। ১৯৮৮-৮৯ সালে টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘ফৌজি’ ও ‘আজিজ মির্জা সার্কাস’ দিয়ে নিজেকে সবার কাছে আলোচিত করে তোলেন শাহরুখ। মায়ের মৃত্যুর পর ১৯৯১ সালে শাহরুখ খান মুম্বইয়ে চলে যান। ১৯৯১ সালের ২৫ অক্টোবর দীর্ঘদিনের প্রেমিকা গৌরীকে বিয়ে করেন শাহরুখ।

বিয়ের পর শাহরুখ খান প্রথম ছবির প্রস্তাব পান। ‘দিল আসনা হ্যায়’ নামের এই ছবিটি ছিল হেমা মালিনী পরিচালিত প্রথম ছবি। ছবিটি মুক্তি পেতে দেরি হওয়ায় ১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় শাহরুখ খানের। প্রথম ছবিতেই সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন শাহরুখ। ১৯৯৩ সালে ‘বাজিগর’ ও ‘ডর’ ছবিতে “খল নায়ক”র চরিত্রে অভিনয় শাহরুখ নিজেকে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত করেন।

শাহরুখ খান অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে (১৯৯৫), দিল তো পাগল হ্যায় (১৯৯৭), কুছ কুছ হোতা হ্যায় (১৯৯৮), মোহাব্বতে (২০০০), কাভি খুশি কাভি গাম (২০০১), দেবদাস (২০০২), কাল হো না হো (২০০৩), বীর-জারা (২০০৪), ওম শান্তি ওম (২০০৭), রা ওয়ান (২০১১), চেন্নাই এক্সপ্রেস (২০১৩) ইত্যাদি।
কাজের স্বীকৃতি হিসেবে শাহরুখ খান ১৩ বার ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন। এর মধ্যে সাতবারই সেরা অভিনেতার পুরস্কার। তিনি ‘পদ্মশ্রী’ খেতাবে ভূষিত হন ২০০৫ সালে। এ ছাড়া আরও অনেক পুরস্কার ঝুলিতে ভরেছেন গুণী এ অভিনয়শিল্পী।