Saturday, August 23, 2025

এত গ্যাস সিলিন্ডার যদি ফেটে যায়! ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মমতা, জরুরি বৈঠকের নির্দেশ

Date:

মেছুয়া থেকে সোজা পার্ক স্ট্রিট- দিঘা থেকে ফিরে কলকাতার অগ্নি নির্বাপর্ণ ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ সরজেমিনে খতিয়ে দেখলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। বিল্ডিং-এ ২৪ টা গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করা দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। পরে বৈঠকে বসেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ৬টি রেস্তোরাঁ বন্ধের নির্দেশ দেয় প্রশাসন।

মেছুয়ায় হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে ১৫জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সময় দিঘায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে থেকে সবসময় যোগাযোগ রাখেন। তাঁর নির্দেশেই তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও মন্ত্রী শশী পাঁজা। দিঘা থেকেই আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন মমতা (Mamata Banerjee)। শুক্রবার, ফিরেই ঘটনাস্থলে যান তিনি। সেখানেই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান অভিযোগ করেন শুধু বড়বাজার নয়, পার্কস্ট্রিটের ম্যাগমা হাউজ নিয়েও তাঁর কাছে অভিযোগ আছে।

মেছুয়া থেকে সরাসরি সারপ্রাইজ ভিজিটে যান পার্কস্ট্রিটের ম্যাগমা বিল্ডিংয়ে (Magma Building)। সেখানে কিছু খাবারের দোকানের পরিস্থিতি দেখে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বিল্ডিং-এ নীচে সারি সারি গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ করা ছিল। দেখে মমতা বলেন, “এখানে এত গ্যাস সিলিন্ডার, যদি ফেটে যায়, তা হলে তো ৫০ হাজার লোক মরে যাবে!” কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা এবং দমকল মন্ত্রীকে রেস্তরাঁর প্রতিনিধিদের ডেকে দ্রুত আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ফায়ার ব্রিগেড কী করবে, ধোঁয়া তো নেভাতে পারে না, তারওপর যদি এত গ্যাস সিলিন্ডার (Gas cylinder) বার্স্ট করে, তাহলে তো প্রচুর মানুষের মৃত্যু হবে। দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নেবে? আমরা কি রাখতে বলেছি?” স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রেস্তরাঁর ছাদ কোনও মতেই বন্ধ করা যাবে না।

এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কলকাতার মেয়র, কলকাতার পুলিশ কমিশনার আর ফায়ার ব্রিগেড মিনিস্টার এখনই মিটিংয়ে বসবে। রেস্টুরেন্টের লোককে নিয়ে ইর্মাজেন্সি মিটিং করতে হবে। এভাবে ছাদ বন্ধ করে রেস্টুরেন্ট চলতে পারে না।”
আরও খবরদক্ষিণদাঁড়ির বহুতলের ফিল্ম স্টুডিওতে অগ্নিকাণ্ড

মমতা জানান, তিনি একজনের থেকে এই বিষয়টি জানতে পারেন তিনি। তাঁর কথায়, “সে আমাকে বলেছিল একটা স্বল্প পরিসর সিঁড়ি আর একটা ছোট্ট লিফট, যাতে ২ জনের বেশি ওঠা যায় না। সেখানে এভাবে গ্যাস সিলিন্ডার থরে থরে সাজানো। আগুন লেগে গেলে মানুষ নামবে কী করে?” পুরসভা, দমকল এবং পুলিশকেও এভাবে সারপ্রাইজ ভিজিট করার কথা বলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মানুষকেও বলব সজাগ থাকুন, প্রয়োজনে আমাদের খবর দিন- পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর।

Related articles

বাংলা দখলে প্রধানমন্ত্রীর ‘হতাশার আর্তনাদ’! ভিডিও দেখিয়ে তোপ তৃণমূলের

বাংলার মানুষকে দিনের পর দিন বঞ্চিত রেখে বাঙালির কাছেই ভোট ভিক্ষা! বাঙালিকে একের পর এক রাজ্যে হেনস্থা করে...

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...
Exit mobile version