জীবন নিয়ে খেলবেন না, বিপজ্জনক বাড়ির বাসিন্দা সরিয়ে মেরামতি: বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

“যাঁরা বিপজ্জনক বাড়িতে থাকেন, সে সব বাসিন্দারাও বুঝবেন। আমাকে গালি দিতে পারেন, কিন্তু জীবন নিয়ে খেলবেন না।” দিঘা থেকে ফিরেই বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডের এলাকা পরিদর্শন করে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। বলেন, “যে বাড়িগুলো বিপজ্জনক, তাঁদের মালিকদের সঙ্গে কথা বলা হবে। প্রয়োজনে তাঁদের সরিয়ে অবিলম্বে মেরামতির কাজ করা হবে।” মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী শশী পাঁজা ও সুজিত বসু।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হোটেল (Hotel) দেখতে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর নজর পড়ে বহু পুরনো, বিপজ্জনক বাড়ির দিকে। সেখান থেকেই বিপজ্জনক বাড়ি নিয়ে বড় সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বলেন, “জীবন আগে। যে বাড়িগুলো বিপজ্জনক, তাঁদের মালিকদের সঙ্গে কথা বলা হবে। প্রয়োজনে তাঁদের সরিয়ে মেরামতির কাজ করা হবে।” তাঁর কথায়, অনেক বাড়িতে ১০টি করে পরিবার থাকেন। তাঁদের সকলকে বসে আলোচনার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

শুধু বড়বাজার নয়, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জোড়াসাঁকোতেও এরকম অনেক বিল্ডিং আছে।  কর্পোরেশনকে বলব, এরকম কোনও বিল্ডিংয়ে বসবাসের অনুমতি না দিতে, যা পারমিশন দেওয়া হয়ে গিয়েছে, সেগুলোকে আবার খতিয়ে দেখতে হবে। যে বিল্ডিংগুলোকে ভেঙে ফেলে দেওয়া হবে বলে নোটিশ দেওয়া হয়েছে, সেসব বাড়ির বাসিন্দাদের বলব, আপনাদের জীবন বাঁচানোর জন্যই এই পদক্ষেপ, আপনাদের বের করে দেওয়া নয়।”

মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, “আমি পুরসভা-পুলিশকে বলব, যদি ওই সব বাড়ির বাসিন্দাদের কিছুদিনের জন্য সরিয়ে দেন। যদি তাঁরা নিজেরাই বাড়িটা ঠিক করেন, তার ব্যবস্থাও করে দেওয়া হবে।” বাড়ি সারানোর বিষয়ে পুলিশ, দমকল, পুরসভার সঙ্গে বসে মিটিং করে বাসিন্দাদের উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দেন মমতা। আর এ বিষয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হবে বলেও জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বড়বাজারের স্থানীয়দের উদ্দেশে মমতা বলেন, “যাঁরা বিপজ্জনক বাড়িতে থাকেন, সে সব বাসিন্দারাও বুঝবেন। আমাকে গালি দিতে পারেন, কিন্তু জীবন নিয়ে খেলবেন না।”
আরও খবর: অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে কমিটি, কাউকে ছাড়া হবে না: মেছুয়ার ক্ষতিগ্রস্ত পরিদর্শন করে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

মুখ্যমন্ত্রী জানান, “পুরনো বাড়িগুলোর শরিকি বিবাদে সংস্কার হয় না। তার পর বছরের পর বছর মামলা চলতে থাকে। ফলে সরকারও হাত দিতে পারে না। তাই আমরা চাইলেও কিছু করতে পারি না। আমার ব্যবসায়ী ও ভাড়াটেদের কাছে অনুরোধ আপনারা আলোচনা করে বাড়িগুলোর সংস্কার করুন। সেজন্য কিছুদিন দোকান স্থানান্তর করতে হলে করুন। কিন্তু মানুষের জীবন নিয়ে খেলবেন না।“