অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে কমিটি, কাউকে ছাড়া হবে না: মেছুয়ার ক্ষতিগ্রস্ত পরিদর্শন করে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত চলবে। একটা তদন্ত কমিটি হবে। কাউকে ছাড়া হবে না। দিঘা থেকে ফিরেই বড়বাজারের মেছুয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ব়্যাফ অ্যান্ড ট্যাফ বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা ও দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu)। তাঁদের থেকে বিস্তারিত তথ্য নেন মমতা। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনার পাশাপাশি দমকল বিভাগের কর্মীদের কাজের প্রশংসা করেন তিনি।

মঙ্গলবার, রাতে আগুন লাগে বড়বাজারের মেছুয়ার একটি হোটেলে। ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৫ জনের। সেই সময় দিঘায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে থেকে সবসময় যোগাযোগ রাখেন। তাঁর নির্দেশেই তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও মন্ত্রী শশী পাঁজা। দিঘা থেকেই আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন মমতা (Mamata Banerjee)। শুক্রবার, ফিরেই ঘটনাস্থলে যান তিনি। এলাকা ঘুরে দেখেন। আগুন ধরে যাওয়া হোটেলটি ‘সিল’ করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। দমকল যখন প্রবেশ করার চেষ্টা করছিল, তখন হোটেলের দরজা বন্ধ ছিল বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, অগ্নিদগ্ধ হয়ে নয়। বেশির ভাগ মানুষ মারা গিয়েছেন ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে। একটা সিঁড়ি ছিল। লোকে নামতে পারেনি। মমতা বলেন, দমকলের তৎপরতায় ৯০-এর বেশি মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, এটা মানুষের জীবনের বিষয়। এই নিয়ে আমি ব়্যাফ অ্যান্ড ট্যাফ। একটা তদন্ত কমিটি হবে। এই অগ্নিকাণ্ড নিয়ে তদন্ত চলবে। কাউকে ছাড়া হবে না। মুখ্যমন্ত্রী জানান, হোটেলের মালিক ও ম্যানেজারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর পরেই উষ্মা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বড়বাজার এলাকায় অনেক বাড়িতে প্লাস্টিক ও রাসায়নিক মজুদ রাখা হয়। এর ফলে অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা বাড়ে। অবিলম্বে এই প্রবণতা বন্ধের নির্দেশ দেন মমতা। নন্দরাম মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডে প্রসঙ্গ তোলেন মমতা। জানান, তাঁর আমলেই বড়বাজার অঞ্চলে দমকল ও থানা হয়েছে।
আরও খবর: আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট মুখ্যমন্ত্রীর