তৃণমূল ভবনে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সাংসদ, বিধায়ক এবং পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর। মূলত তিনটি বিষয়কে সামনে রেখে এদিনের আলোচনা দু’দফায় গড়ায়। প্রথম বৈঠকটি হয় জেলার তফশিলি জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে, পরের বৈঠকটি হয় সমস্ত বিধায়ক এবং সাংসদদের নিয়ে। আন্দোলন এবং প্রচারের অভিমুখ ঠিক করে দেন তৃণমূলনেত্রী এবং পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন প্রশান্ত কিশোর, যাতে শিলমোহর দেন নেত্রী।
প্রথম বিষয়ে ছিলে এনআরসি। নেত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন রাজ্যে এনআরসি হবে না। এ নিয়ে তৃণমূল স্তরে প্রচারে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, প্রত্যেকটি মানুষের মগজের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে হবে এনআরসির ভয়াবহতার কথা। এর জন্য বুথ ধরে ধরে প্রচার করতে হবে।
দ্বিতীয় বিষয় ছিল তপশিলি জাতি এবং উপজাতি মানুষকে দলের কাছাকাছি নিয়ে আসা। বিগত পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে এই সম্প্রদায়ের মানুষ তৃণমূলের দিক থেকে অনেকটাই মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। এক্ষেত্রে প্রশান্তের দাওয়াই এনআরসির মতোই তফসিলি বিষয়টি নিয়ে সারা বছর ধরে প্রচারে থাকতে হবে। তাদের সমস্যার কথা শুনতে হবে। দলীয় নেতৃত্বকে তা সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি সরকার এই সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের জন্য কী কী করেছে এবং কী কী করতে চায়, তারও হিসাব দিতে হবে।
তৃতীয় বিষয়টি ছিল প্রশান্ত কিশোরের ব্রেইন চাইল্ড ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই কর্মসূচি কাজে দিচ্ছে। মানুষের অভাব অভিযোগ সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। প্রশান্ত কিশোর তথা পিকে বলেন, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি এবারে বুথ স্তরে নিয়ে যেতে হবে। আর এর মাধ্যমে মানুষের কাছাকাছি আসতে হবে। মানুষের প্রতিদিনের সমস্যার শরিক হতে হবে। এর জন্য কর্মসূচি বাড়াতে হবে।
‘২১-এর ভোটের আগে এই তিন কর্মসূচিকেই আপাতত পাখির চোখ করে এগোতে চায় টিম পিকে তথা তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-মেয়েরা নয় পুরুষরা শাড়ি পরে বরণ করছে প্রতীমাকে, দেখুন ভিডিও