গানের তরীতে ভেসেই শেষযাত্রা

গানে গানে চলে গেলেন নবনীতা দেবসেন। আজীবন রবীন্দ্রসংগীত ছিল তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। কারণে-অকারণে সুখে-দুঃখে রবীন্দ্রনাথের গানকে আঁকড়ে ধরেছেন নবনীতা। শেষ সময় ছোটমেয়ের বুকে মাথা রেখে সেই গান শুনছিলেন তিনি। মায়ের মৃত্যু নিয়ে বলতে গিয়ে নন্দনা সেন জানান, বৃহস্পতিবার, রাতে নবনীতা দেবসেনের যখন প্রবল শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, তখন অক্সিজেন বাড়িয়ে, নেবুলাইজার দিয়ে কষ্ট উপশমের চেষ্টা চলছিল। সেই সময় মায়ের মাথাটা নিজের বুকে তুলে নেন নন্দনা। গান ধরেন তিনি ও তাঁর দিদি অন্তরা। তারপরেই যেন অক্সিজেনের মাত্রা একটু বেড়ে যায়। কিছু বলতে না পারলেও, কিছুটা স্বস্তি পান নবনীতা দেবসেন। দুই মেয়ের কণ্ঠে গান শুনতে শুনতে অমৃতলোকে যাত্রা করেন তিনি।

তবে সেখানেই থেমে যায়নি। সকালে হিন্দুস্থান পার্কের বাড়ি থেকে যখন নবনীতার মরদেহ শেষযাত্রার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তখনও দুই কন্যা, আত্মীয় ও বন্ধুরা তাঁকে গান গেয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে নিয়ে আসেন।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন নবনীতা দেবসেন। তাঁর দেহ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা, “তুমি রবে নীরবে” গেয়ে তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানান। যে রবীন্দ্রনাথের গান ছিল তাঁর প্রিয় সঙ্গী অন্তিমযাত্রায় সেই গানের তরী বেয়েই অমৃতলোকে পাড়ি দিলেন নবনীতা।

আরও পড়ুন-অযোধ্যা রায় দেওয়ার আগে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন গগৈ

 

Previous articleঅযোধ্যা রায় দেওয়ার আগে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন গগৈ
Next articleকড়া নজরে ‘বুলবুল’-র গতিবিধি