রায়ের কিছু অংশ নিয়ে প্রশ্ন সিপিএম পলিটব্যুরোর

অযোধ্যা বিতর্ক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কিছু যুক্তি প্রশ্নাতীত নয় বলেই মন্তব্য করেছে সিপিআই(এম) পলিটব্যুরো। শনিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর পলিটব্যুরো জানায় যে, এই রায়কে ব্যবহার করে এমন কোনও উস্কানিমূলক কাজকর্ম করা উচিত হবে না যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়। ২.৭৭ একর বিতর্কিত জমি ট্রাস্টের মাধ্যমে মন্দির নির্মাণের জন্য হিন্দু পক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর এক নির্দেশে মসজিদ নির্মাণের জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে বিকল্প পাঁচ একর জমি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ সেই বিতর্কের অবসান ঘটাতে চেয়েছে যাকে হাতিয়ার করে এসেছে সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলি। ওই বিতর্কের জেরেই ব্যাপকমাত্রায় হিংসা-হানাহানি ঘটেছে, প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের। আপস-মীমাংসায় সম্ভব না হলে বিচারবিভাগীয় পথেই ওই বিতর্কিত বিষয়ের সমাধান হওয়া যুক্তিযুক্ত।

বিবাদপূর্ণ বিষয়ে আইনি সমাধানের কথা ওই নির্দেশে থাকলেও রায়ের কিছু যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছেই।

১. পলিটব্যুরো বলেছে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মেনে নেওয়া হয়েছে ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে বাবরি মসজিদ ধ্বংস একটি আইন লঙ্ঘনের ঘটনা ছিল। এটি ফৌজদারি অপরাধ এবং ধর্মনিরপেক্ষ নীতির ওপর আঘাত। ওই ধ্বংস সংক্রান্ত মামলাকে আরও ত্বরান্বিত করা ও দোষীদের শাস্তি পাওয়া উচিত।

২. এর সঙ্গে ১৯৯১ সালের ধর্মাচরণের স্থান সংক্রান্ত আইনের প্রশংসা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ওই আইনকে মান্যতা দেওয়ার অর্থ, ধর্মীয় স্থান সংক্রান্ত বিরোধ আবার সামনে আনা অথবা ব্যবহার করা যাবে না, তা সুনিশ্চিত করতে হবে।

৩. এই রায়কে ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে পারে এমন কোনওরকম প্ররোচনামূলক কাজকর্ম যেন না হয়, সেই আহ্বান জানিয়েছে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো।

Previous articleনিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড
Next articleবুলবুল ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ গেল দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জের এক যুবকের