মুখ্যমন্ত্রিত্ব শিবসেনাকে ছেড়ে, উপ-মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়েই খুশি এনসিপি-কংগ্রেস

দীর্ঘ টালবাহানার পরে অবশেষে মহারাষ্ট্রে সরকার করতে চলছে শিবসেনা। যদিও ইতিমধ্যে সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই এনসিপি ও কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়েই সরকার করবে উদ্ধব ঠাকরের দল। শিবসেনাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়ে উপ-মুখ্যমন্ত্রী নিয়েই খুশি থাকবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন পাওয়ার ও সোনিয়া। তবে, এই মিলিঝুলি সরকার গঠনের আগেই তাকে কটাক্ষ করেছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশ। তাঁর দাবি, ছ’মাসের বেশি চলবে না এই সরকার। সেই দাবি, উড়িয়ে দিয়ে শরদ পাওয়ার রাজ্যবাসীকে আশ্বাস দিয়েছে, দেরিতে গঠন হলেও এই জোট সরকার চলবে পুরো পাঁচ বছর।

শুক্রবার, ন্যূনতম অভিন্ন কর্মসূচি ঠিক করতে বৈঠকে বসে শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেস। সূত্রের খবর, তাতে সম্মতি দেয় তিনদল। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ওঠে মুখ্যমন্ত্রী কে হবে? শিবসেনার কাছে মুখ্যমন্ত্রিত্বের বিষয়টি স্পর্শকাতর বুঝেই, সেই পদের দাবি জানাচ্ছে না কংগ্রেস-এনসিপি। নতুন মন্ত্রিসভায় উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদেই বসবে তারা।

রবিবার, সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে বৈঠক করবেন শরদ পাওয়ার। তারপরে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠক করবেন দুই নেতা। এরপরেই সরকার গড়ার বিষয়ে ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে এনসিপি-র পক্ষ থেকে উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার। তবে, উপমুখ্যমন্ত্রী পদে নতুন মুখ চাইছেন সোনিয়া। যৌথ বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে সূত্রের খবর।

এই পরিস্থিতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে হর্স ট্রেডিং-য়ের অভিযোগ তুলেছে শিবসেনা। তাদের অভিযোগ রাষ্ট্রপতি শাসনের সুযোগ নিয়ে বিধায়ক কেনাবেচা করছে বিজেপি। তবে তাঁদের সমর্থনে দুই বিরোধী জোট শরিকের সব বিধায়ক রয়েছেন বলে আত্মবিশ্বাসী উদ্ধব ঠাকরে।

Previous articleসিরিজের প্রথম টেস্ট জিতে ইন্দোরকে ধন্যবাদ জানালেন বিরাট
Next articleখালে ঢুকে মৃত্যু ডলফিনের, প্রশ্নের মুখে বনদফতর