এয়ার ইন্ডিয়া, বিপিএলই নয়; সেইল, বেঙ্গল কেমিক্যাল-সহ ২৮ সংস্থা বিক্রি করছে কেন্দ্র

সরকারি তথা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পুনরুজ্জীবন তো দূরে থাক, কী করে সেগুলির বিক্রি করা যায়, কিংবা তালা লাগিয়ে দেওয়া যায় তার প্রতিযোগিতা শুরু করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। দু’দিন আগেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন ভাল দাম দিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে দীর্ঘ ইতিহাস তৈরি করা এয়ার ইন্ডিয়া আর ভারত পেট্রোলিয়াম। এবার তালিকা আর একটু বড়। এবার সেইল (SAIL), বেঙ্গল কেমিক্যাল-সহ ২৮টি সংস্থার বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। অর্থপ্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এই খবর দিয়ে জানান, কেন্দ্রের মন্ত্রিসভার এটি নীতিগত সিদ্ধান্ত। কারণ, চলতি বছরে সরকারের টার্গেট à§§.০৫ লক্ষ কোটি টাকা। এই মুহূর্তে সেই অঙ্কটা à§§à§­, ৩৬৪ কোটিতে আটকে রয়েছে। ২৮টি সংস্থার বিলগ্নিকরণ হলে এই অর্থ সরকারের ভাঁড়ারে চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। কেন্দ্রের এই নয়া আর্থিক উদারিকরণ নীতির সমালোচনা করে বেশ কিছু অর্থনীতিবিদ বলছেন, যদি বিলগ্নিকরণই পথ হয়, তাহলে সরকারটারও বিলগ্নিকরণ হোক। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি নাম হোক ভারত সরকারের!

অর্থমন্ত্রীর একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, রাজকোষের ঘাটতি মেটাতে এখনই সরকারের আয়ের প্রয়োজন রয়েছে। সংস্থাগুলির বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে তা সম্ভব হবে। এয়ার ইন্ডিয়া প্রসঙ্গে সীতারামন বলেন, বিগত আর্থিক বছরে প্রায় ৪৬০০ কোটি লোকসানের পর এখন এয়ার ইন্ডিয়ার মাথায় ঋণ চেপেছে à§«à§® হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বিক্রির জন্য ‘দোকান খুলে রেখে’ও বিক্রিজট কাটেনি। ভারত পেট্রোলিয়ামে সরকারের শেয়ার রয়েছে প্রায় à§«à§© শতাংশ। সবশুদ্ধ বিক্রি করবে কেন্দ্র। সেইল এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম সেরা সংস্থা। সরকারি নীতির কারণে মাঝে মধ্যে ধাক্কা খাচ্ছে। সেই সুযোগকেই কাজে লাগাচ্ছে কেন্দ্র। বেশ কিছুদিন ধরে লোকসানে চলার পর ফের গত বছরই লাভেফ মুখ দেখে বেঙ্গল।কেমিক্যাল। তারও বিলগ্নিওকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে আগামিদিনে দেশ জুড়ে এ নিয়ে আন্দোলনের মুখে যে কেন্দ্র পড়তে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।