Thursday, August 28, 2025

কোচবিহারের কর্মিসভায় নাম না করে মিম নিয়ে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার, মিম অর্থাৎ আসাদউদ্দিন ওয়েসির দল মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল-মুসলিমিন নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। একদিনের মধ্যেই তার জবাব দিলেন হায়দরাবাদের সাংসদ ওয়েসি।

কোচবিহারের কর্মিসভায় নাম না করে তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ করেন, ওরা বিজেপির কাছে টাকা নেয়। সংখ্যালঘুরা ভুল করবেন না। ওদের বাড়ি হায়দরবাদে। এখানে নয়। এর জবাবে, মঙ্গলবার, নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ওয়েসি লেখেন, মানবসম্পদ উন্নয়নের তথ্য অনুযায়ী বাংলার মুসলমানদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ, এটা বলা কোনও ধর্মীয় উগ্রতা নয়।

রাজ্যের সীমানা লাগোয়া বিহারের কিষাণগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে জিতেছে মিম। এরপরেই ওয়েসির ছবি সহ তাদের দলীয় পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে গিয়েছিল কোচবিহার শহর। রাজ্যে তৃণমূলের নির্ভরযোগ্য ভোট ব্যাঙ্ক সংখ্যালঘুরাই। এনআরসি নিয়েই তাঁদের পাশে শাসকদল। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে যদি মিম-র মতো কট্টর মুসলিম সংগঠন বাংলাকে টার্গেট করে, তা তৃণমূল নেত্রীর কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সূত্রের খবর, দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদে ইতিমধ্যেই গোপনে সংগঠন মজবুত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল-মুসলিমিন। তবে, কোচবিহারে একদম এগিয়ে প্রকাশ্যে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে তারা। এ বিষয়ে দলের কোর গ্রুপের বৈঠকে নেতাদের সতর্ক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে শাসকদল। সেখানে থাবা বসিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে বিপরীত মেরুর কোনও উগ্র ধর্মীয় সংগঠন জনমত গঠন করতে পারে বলে আশঙ্কা অনেকেরই। সেই কারণেই মিম-র উপস্থিতি চিন্তা বাড়াচ্ছে শাসকদলের। উপনির্বাচনে কৌশলগত জোট করে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে চাইছে বাম-কংগ্রেস। তবে, দলীয় কর্মীদের যতই এবিষয়ে সতর্ক করুন তৃণমূল নেত্রী, তিনিও যে জমি ছাড়ছেন না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ওয়েসি।

আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় আটকে পাট্টার দাবি, সমাধানের আশ্বাস মমতার

 

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version