পোশাক বিতর্কে স্কুলে প্রতিনিধি দল পাঠালেন জেলাশাসক

স্কুলের নিয়ম মতো পোশাক পরে না আসায় ছাত্রীদের পোশাক খুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সেই অবস্থাতেই বাড়ি পাঠানো হয় পড়ুয়াদের। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে বীরভূমের বোলপুরে। ঘটনার দিনই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অভিভাবকরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের স্কুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। চাপে পড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল স্বীকার করে নিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেয়।

এই ঘটনায় বীরভূমের জেলাশাসকের নির্দেশে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল স্কুল পরিদর্শন করলেন। তাঁরা স্কুলের শিক্ষিকা ও প্রিন্সিপালের সঙ্গে দেখা করেন। সেইসঙ্গে বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের কথাও শোনেন তাঁরা। সব শুনে জেলাশাসককে রিপোর্ট জমা দেবে এই প্রতিনিধি দল। অন্যদিকে বুধবার সকালে এক অভিভাবক অভিযোগ করেছেন এই ঘটনার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাঁর মেয়ে। ফলে আজ ইংরেজি পরীক্ষা দিতে আসতে পারেনি সে। অন্যদিন তাকে পরীক্ষায় বসার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। জমা দিয়েছেন ডাক্তারের রিপোর্টও। এদিকে আজও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি প্রিন্সিপালকে অবিলম্বে বদলি করতে হবে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর দফতরেও এই বিষয়ে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা। অন্যদিকে প্রিন্সিপাল সিস্টার অর্চনার দাবি, ”স্কুলে একটা নির্দিষ্ট পোশাক বিধি রয়েছে। সে সম্পর্কে আগেই অভিভাবকদের জানানো হয়েছিল। তারপরেও তারা অন্য পোশাক পরিয়ে মেয়েদের পাঠিয়েছেন।” এরপর তিনি আরও বলেন, ”কোথাও ভুল হচ্ছে। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।” তার উত্তরে অভিভাবকরা পাল্টা বলেন, ”পোশাক যদি না খোলানো হবে, তা হলে সেগুলো আমাদের ফেরৎ দেওয়া হল কী করে? এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে প্রিন্সিপাল মিথ্যে বলছেন।” এই খবর শুনে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই শিক্ষা দফতরের কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন।

আরও পড়ুন-অভিমানে আত্মঘাতী বালক

 

Previous articleগোলাপি বলে টেস্ট খেলার স্বপ্নে বিভোর রাহানে
Next articleদেশজুড়ে হবে এনআরসি বাদ যাবে না অসমও, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী