উপনির্বাচনে ৩-০ জেতার সুযোগ তৃণমূলের সামনে, পারবে কি?

বিধানসভার আসন্ন তিনটি উপনির্বাচনে প্রতিটিতেই জেতার সুযোগ রয়েছে তৃণমূলের সামনে। ৩-০ জিতলে দলের ঘুরে দাঁড়ানো যেমন প্রতিফলিত হবে, আত্মবিশ্বাস বাড়বে, তেমন বিজেপিও জোর ধাক্কা খাবে। সর্বশক্তিতে লড়ছে তৃণমূল। যে কারণগুলি ৩-০ করার পক্ষে, সেগুলি হল:

১) এটা লোকসভা বা মোদির নির্বাচন নয়। দিল্লির সরকার গঠনের ভোটের সঙ্গে এর বিস্তর ফারাক।
২) এটা বিধানসভার ভোট। মুখ্যমন্ত্রীর সামাজিক স্কিম প্রভাব ফেলবে বেশি।
৩) এন আর সি ইস্যুতে মানুষ বিজেপির উপর বিরক্ত।
৪) “দিদিকে বলো” কর্মসূচিতে হারানো জমি ফিরছে তৃণমূলের।
৫) খড়্গপুরে লোকসভায় বিজেপির লিড থাকলেও এবার গোষ্ঠীবাজি চরমে। প্রার্থীর বিরুদ্ধে তুমুল ক্ষোভ। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সবাই মাটি কামড়ে আছেন। প্রয়াত জ্ঞান সিং সোহন পালের স্মৃতিতে কংগ্রেস কিছু ভোট পেলে সেটা তৃণমূলবিরোধী ভোটই কাটবে। ফলে বিজেপির সমস্যা।
৬) করিমপুরে সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলের পক্ষে একতরফাভাবে অটুট থাকছে। সাংসদ মহুয়া মৈত্রও তৃণমূলের হয়ে খুব পরিশ্রম
করছেন।
৭) কালিয়াগঞ্জে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী যথেষ্ট ভালো লড়ছেন। তিনি তৃণমূলবিরোধী ভোট অনেকটা কাটবেন। ফলে বিজেপির পক্ষে বাড়তি ভোট যাবে না। অ্যাডভান্টেজ তৃণমূল।

মূলত এই অঙ্কেই রাজনৈতিক মহল ৩-০ ফলে তৃণমূলের সাফল্য উড়িয়ে দিচ্ছে না। কেউ কেউ বলছেন ১-১-১ হতে পারে।

তবে বিজেপি তিনটি কেন্দ্রেই ভালো লড়াইয়ের পরিবেশ রেখেছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। শীর্ষনেতারা কেন্দ্রগুলি চষে ফেলছেন। তাঁদের অঙ্ক হল অঘটন ঘটিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপির হাওয়া আরও বাড়িয়ে নেওয়া। তাঁরা খড়্গপুর এবং আরও অন্তত একটি কেন্দ্র জয়ের আশা করছেন। কংগ্রেস-বাম জোটের লক্ষ্য কালিয়াগঞ্জ জয়। নিদেনপক্ষে তিনটিতে ভোট বাড়িয়ে ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হয়ে প্রাসঙ্গিকতা রক্ষা।