ন’বছরের ছেলের কীর্তি দেখলে আপনি হতবাক হয়ে যাবেন। এমন সব কাণ্ডকারখানা সে করে ফেলেছে যে, শিক্ষকরাও তাকে ‘জিনিয়াস’ নামে ডাকতে শুরু করেছেন।

লরেন সিমন। থাকে বেলজিয়ামে। এই বয়সেই সে ইউনিভার্সিটি ডিগ্রি পেয়ে গিয়েছে। তার আইকিউ লেভেল ১৪৫, যা আইনস্টাইন ও স্টিফেন হকিংয়ের কাছাকাছি। লরেন শুধু মেধাবী নয়, দারুণ স্মৃতিশক্তি, জানিয়েছেন তার দাঁতের ডাক্তার বাবা আলেকজান্ডার। বাবার বক্তব্য, কোনওদিনই তাঁর ছেলের জন্য অতিরিক্ত কিছু করেননি। তবে এত দ্রুত কী করে যে সবকিছু শিখে ফেলছে সেটা তাঁর কাছেও বিস্ময়ের ব্যাপার, কোনোও ব্যাখ্যা নেই।

ছ’বছর বয়সে হাই স্কুলে ভর্তি হয়। ছয় বছরের লেখাপড়া শেষ করে ফেলে দু’বছরে। তারপর আট বছর বয়সে ভর্তি হয় ইউনিভার্সিটি’তে। এক বছরের মধ্যেই ইউনিভার্সিটি ডিগ্রি তার হাতে চলে আসে। এত কম বয়সে গ্রাজুয়েট হওয়ার নজির বেলজিয়ামে নেই। ফলে দেশে এখন রীতিমত তারকা লরেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে সারাক্ষণ ঘোরাফেরা করে। ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার সংখ্যাও বিশাল। শিক্ষকরা বলছেন এত দ্রুত শেখে যে তাঁরাও বিস্মিত। তাই তাঁকে জিনিয়াস বলেই ডাকেন। তবে পড়া বাদ দিয়ে আর পাঁচটা এই বয়সের ছেলে মেয়ের মত ভিডিও গেম প্রিয়। লরেন বড় হয়ে কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তৈরি করতে চায় বলে জানিয়েছে।
