ঐতিহাসিক পিঙ্ক টেস্টে ইশান্ত শর্মার বোলিং দাপটে দ্বিতীয় দিনের শেষে 89 রানে লিড করছে ভারত। এই ঐতিহ্যশালী পিঙ্ক টেস্ট ঘিরে গত একমাস ধরে উত্তেজনার পারদ চড়েছিল ক্রিকেটমহলে। প্রথম গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্ট খেলছে ভারত ও বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের শেষে এগিয়ে রয়েছে কোহলি ব্রিগেড।

টস জিতে শুক্রবার প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মোমিনুল হক। কিন্তু তাঁর সেই সিদ্ধান্তের মর্যাদা রাখতে পারেননি দলের ব্যাটসম্যানেরা। তবে ভারতের বিরুদ্ধে বোলিং বিভাগে নিজেদের মান রক্ষা করেছে বাংলাদেশ।

যদিও বাংলাদেশ বোলারদের মোক্ষম জবাব দিয়েছেন কোহলি, তবুও বাকি ভারতীয় ব্যাটসম্যানেরা সেভাবে পিঙ্ক টেস্টে দাগ কাটতে পারলেন না। ব্যর্থ হয়েছেন দলের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল। তিরিশের গণ্ডি পেরোতে পারেননি তাঁরা। পরবর্তীকালে চেতেশ্বর পূজারা ও অজিঙ্কা রাহানে হাফ সেঞ্চুরি করলেও খেলার হাল আসলে ধরেন ক্যাপ্টেন কোহলিই। তিনি তাঁর টেস্ট কেরিয়ারের ২৭তম সেঞ্চুরি করলেন এই পিঙ্ক টেস্টে। ১৩৬ রানে ত্থমকে যান বিরাট।
কিন্তু তাঁর সাজঘরে ফেরার পর আর কেউই ক্রিজে সেভাবে টিকে থাকতে পারলেন না। পরপর উইকেট হারায় টিম ইন্ডিয়া। অবশেষে নয় উইকেটে যখন দলের স্কোর ৩৪৭, তখন ডিক্লেয়ার ঘোষণা করেন বিরাট।

এর ফলে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামে বাংলাদেশ। আর নেমেই শূন্য রানে উইকেট হারায় পদ্মা পাড়ের দেশ। ঠিক তার পরেই মাত্র ছয় রান যখন বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে যোগ হয়েছে, তখন ইমরুল কায়েস সাজঘরে ফিরে যান। তারপর খালি হাতে বাংলাদেশ অধিনায়ককে ফিরিয়ে দেন ইশান্ত শর্মা।
প্রসঙ্গত, সদনাম খান ও কায়েসকেও প্যাভিলিয়নে পাঠান ইশান্তই। যখন ইশান্ত-উমেশদের বোলিং দাপটে নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ, ঠিক তখন আরও খারাপ সময় যেন এল বাংলাদেশ ড্রেসিংরুমে। দ্বিতীয় দিনেও ভারতীয় বোলারদের বল হেলমেটে লেগে আহত হয়েছেন প্রথমে মহম্মদ মিঠুন ও খেলার প্রায় শেষ লগ্নে এসে বিপক্ষ দলের বাউন্সার সামলাতে না পেরে হেলমেটে লেগে আহত হন মুশফিকুর রহিম। তবুও খেলা চলে। দিনের শেষে 6 উইকেট হারিয়ে 152 রান করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের শেষে 89 রানে লিড করছে টিম ইন্ডিয়া।
