“রাখে হরি, মারে কে!” সেফ ড্রাইভ-সেভ লাইফ প্রচারে এবার বাংলাদেশি ক্রিকেটার!

বাংলায় একটা প্রচলিত প্রবাদ আছে, “রাখে হরি, মারে কে!” শহরের রাস্তায় দুর্ঘটনা এড়াতে এবং গাড়ি চালকদের সচেতন করতে এবার এই প্রবাদকেই হাতিয়ার করল কলকাতা পুলিশ। বেশ কয়েক বছর ধরেই, দুর্ঘটনা এড়াতে “সেভ ড্রাইভ, সেভ লাইফ” নিয়ে জনসচেতনমূলক প্রচার চালাচ্ছে রাজ্য সরকার কলকাতা পুলিশ। এটা ঠিক, সর্বক্ষেত্রে এই দুর্ঘটনা এড়ানো না গেলেও কলকাতা পুলিশের এই সংক্রান্ত ব্যাপারে অভিনব প্রচার বেশ জনপ্রিয় হয়েছে এবং জনমানসে সাড়া ফেলেছে।

যখন যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়, ঠিক সেই বিষয়গুলোকে নিয়েই “সেভ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ প্রচার চালায় কলকাতা পুলিশ। যাতে মানুষের মধ্যে সেই প্রভাবটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, অন্যান্য অনেক কিছুর সঙ্গেই প্রচারের অংশ হিসেবে বিভিন্ন খেলোয়ারদের নিয়েও অভিনব প্রচার চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ।

কখনও বিরাট কোহলি কিংবা জসপ্রীত বুমরাহ, আবার কখনও মেসি রোনাল্ডো! বারেবারে মাঠে তাঁদের বিভিন্ন মজা, অঙ্গভঙ্গি কিংবা অন্যান্য নজরকাড়া বিষয়গুলো উঠে এসেছে কলকাতা পুলিশের সচেতনমূলক এই প্রচারে। এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেন গার্ডেন্সে ঐতিহাসিক দিনরাতের গোলাপি টেস্ট।

প্রসঙ্গত খেলার মাঠে হোক বা রাস্তায়, দুর্ঘটনা এড়াতে হেলমেটের গুরুত্ব যে কতটা তা ছোট্ট উদাহরণ দিয়ে ফের আকর্ষণীয় এক উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিল কলকাতা পুলিশ। এবার ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশে প্রথম দিনরাতের টেস্টের একটি মুহূর্তের ছবি টুইট এবং ফেসবুক পোস্ট করল কলকাতা পুলিশ। ছবির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে “রাখে হেলমেট, মারে কে?”

পিঙ্ক বলের এই ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশকে ইনিংসে হারিয়ে হেলায় সিরিজ জিতে নিয়েছে বিরাট কোহলির ভারত। ভারতীয় পেসারদের আগুনে বোলিংয়ের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারেননি বাংলাদেশের কোনও ব্যাটসম্যান। টেস্টের প্রথম দিনে ইশান্ত শর্মার বাউন্সার গিয়ে লাগে লিটন দাসের মাথায়। তার পর মহম্মদ সামির বলে মাথায় চোট পান নইম হাসান। তবে দু’জনের কেউই গুরুতর চোট পাননি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হাসপাতাল থেকে। গুরুতর চোট না হওয়ার কারণ, মাথায় হেলমেট ছিল যে!

টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও ইশান্তের বাউন্সার সপাটে গিয়ে লাগে মহম্মদ মিঠুনের মাথায়। আতঙ্কের কাটিয়ে উঠতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগে তাঁর। তবে মাথায় হেলমেট থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পান মিঠুনও।

শনিবার ইডেন টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মহম্মদ মিঠুনের হেলমেটে সজোরে ইশান্তের বাউন্সার লাগার মুহূর্তের ছবিটি টুইট এবং ফেসবুক পোস্ট করে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ’-এর প্রচারে নেমেছে কলকাতা পুলিশ। দুর্ঘটনা এড়াতে হেলমেটের গুরুত্ব যে অপরিসীম, তা বোঝাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি পোস্ট করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে। এবং ইতিমধ্যেই তা নেটিজেনদের মধ্যে জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে। যদিও কলকাতা পুলিশের এই পোস্ট মানুষকে কতটা সচেতন করবে, সেটা অবশ্য সময়ই উত্তর দেবে।

Previous articleBIG BREAKING : করিমপুরে বিজেপি প্রার্থীকে লাথি মেরে ফেলা হল ঝোপে, কেন্দ্রীয় বাহিনী সরালো বিক্ষোভকারীদের
Next articleআজ সুপ্রিম কোর্টে ফের শুনানি, ফড়নবিশ ও পাওয়ারের চিঠি দেখবেন বিচারপতিরা