Wednesday, August 27, 2025

সেচ দুর্নীতি মামলায় অজিত পাওয়ার যুক্তই নন: মহারাষ্ট্রের দুর্নীতি দমন শাখা

Date:

মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় থাকতে চমকের পর চমক দেখাচ্ছে বিজেপি।

ভোরবেলার শপথ-নাটকের পর এবার সেচ দুর্নীতি মামলার তদন্তও বন্ধ করা হল। প্রায় 70 হাজার কোটি টাকার এই সেচ দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত ছিলেন অজিত পাওয়ার।

মহারাষ্ট্রের ভোট প্রচারে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বারবার বলেছিলেন,  বিদর্ভ অঞ্চলের ওয়াসিম, যাবতমল, অমরাবতী এবং বুলধানার সেচ প্রকল্প নিয়ে 9টি দুর্নীতির মামলায় অজিত যুক্ত। তাঁকে জেলে যেতেই হবে। অজিতকে জেলে ঢোকাতে মহারাষ্ট্রের বিজেপি কম চেষ্টা করেনি। আর এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, যখন অজিতের হাতেই আছে ফড়নবিশের জিয়নকাঠি, তখনই বন্ধ করা হলো সেচ দুর্নীতি মামলার যাবতীয় তদন্ত। মুক্ত করা হলো অজিত পাওয়ারকে।

শনিবার মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে সমর্থনের বিনিময়ে অজিত পাওয়ারের উপমুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার তিনদিনের মাথায় তাঁর বিরুদ্ধে থাকা বিদর্ভ অঞ্চলের ওয়াসিম, যাবতমল, অমরাবতী এবং বুলধানার সেচ প্রকল্প নিয়ে 9টি দুর্নীতির মামলার তদন্তই থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রের দুর্নীতি দমন শাখাকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা ANI জানিয়েছে, 70 হাজার কোটি টাকার সেচ-দুর্নীতির 9টি মামলার কোনওটির সঙ্গেই অজিত পাওয়ারের যোগ নেই। ANI-কে দুর্নীতি দমন শাখা পদস্থ এক আধিকারিক বলেছেন, “সেচ বিষয়ক 3,000 বরাতের তদন্ত করছি আমরা। এটা রুটিন তদন্ত। এ সব তদন্ত বন্ধ করা হয়েছে”। তাঁর কথায়, “যে তদন্তগুলি বন্ধ করা হয়েছে,তার কোনওটার সঙ্গেই মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী জড়িত নন”। মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন এই ঘোষণায় তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বারবারই অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং ওই রাজ্যের বিজেপি। 2014 সালে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর, প্রথম যে কাজটি ফড়নবিশ করেছিলেন, তা হলো, সেচ দুর্নীতি মামলায় অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে তদন্তে সিলমোহর দেওয়া। এনসিপি-কংগ্রেস জোট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সেচ দুর্নীতিতে 70 হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে।

বিভিন্ন সেচ প্রকল্পের অনুমোদন এবং চালু করা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে বস্তা বস্তা। মহারাষ্ট্র নির্বাচনের আগে, একটি সমবায় ব্যাঙ্কের দুর্নীতিতেও অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মামলা রুজু করে ED বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

ভোট প্রচারের সময় এক সভায় দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেছিলেন, ভোটের পর জেলেই শেষ হয়ে যেতে পারেন অজিত পাওয়ার,শোলে সিনেমার একটি সংলাপও তুলে ধরেছিলেন তিনি।

এদিকে শিবসেনা-সহ অ-বিজেপি দলগুলি শনিবারের পর থেকেই বলে চলেছে, দুর্নীতির মামলা থেকে বাঁচতে অজিত পাওয়ার বিজেপির দিকে ঝুঁকেছেন। তার মধ্যেই অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার তদন্তই বন্ধ করে দেওয়া হলো।

Related articles

বিরক্ত মিঠুন? এড়াচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির একাধিক কর্মসূচি

বারবার রং বদল করে আপাতত গেরুয়াতে ঠেকেছেন ডিস্কো ড্যান্সার মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। ভোটের আগে বা বিজেপির. (BJP)...

আরজি কর কাণ্ডে ভুয়ো প্রচারের অভিযোগ! নোটিশ চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীকে

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়া অভয়ার মৃত্যুকে ঘিরে ভুয়ো প্রচার মামলায় নোটিশ ধরাল কলকাতা পুলিশ। পুলিশের...

দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যে ডেঙ্গি-উদ্বেগ! টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে আশঙ্কা 

দুর্গোৎসবের মুখে একদিকে নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে ডেঙ্গি সংক্রমণ রাজ্যবাসীর কপালে ভাঁজ বাড়াচ্ছে। জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে...

মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী! কিনলেন শাড়ি 

বর্ধমানে প্রশাসনিক সভায় এসে হঠাৎ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হাজির মুখ্যমন্ত্রী। শুধু মহিলাদের হাতের কাজই ঘুরে দেখলেন না, কেনাকাটাও...
Exit mobile version