জয় নিয়ে অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস নয়, বার্তা মমতার

উপনির্বাচনের ৩-০-র পরে খুশির হাওয়া শাসকদলের শিবিরে। এরমধ্যে কালিয়াগঞ্জ আর খড়্গপুর সদরে এই প্রথম জয় পেল তৃণমূল। ফলের খবর সামনে আসতেই উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। খুশি নেতৃত্বও। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও দলীয় নেতা-কর্মীদের সংযত থাকার বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দেন, কোথাও বেশি উৎসাহ দেখিয়ে বিজয়মিছিল করা যাবে না।

গণনা চলাকালীন তৃণমূল নেত্রী জানান, বিজেপি তাঁদের ঔদ্ধত্যের ফল পেয়েছে। বিকেলে নবান্নের সামনে তিনি আবার বলেন, লোকসভা নির্বাচনের পরে অহংকারী হয়ে পড়ে বিজেপি। বাংলার মানুষ এর জবাব দিয়েছেন। আর এদিনও মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, রাজ্যে এনআরসি হবে না।

উপনির্বাচন হলেও, সবার নজর ছিল এই তিন কেন্দ্রের ফলে। এটা একুশের লিটমাস টেস্ট বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
তবে, লোকসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল না হওয়ায় কিছুটা মনোবল ভেঙেছিল তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের। বৃহস্পতিবার, ফল প্রকাশের পরে তাই বিভিন্ন জায়গায় শাসক শিবিরে উৎসবের মেজাজ দেখা যায়। সবুজ আবির মেখে মিষ্টি-মুখ করেন তাঁরা। এমনকী, ৩ কেন্দ্রের বাইরেও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আনন্দে মাতেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। এই জয়ে রাজ্যের মানুষকে উৎসর্গ করে তৃণমূল নেত্রী বার্তা দেন, এই জয়ের উদযাপনে কোথাও যেন অতি উৎসাহ দেখানো না হয়। কারণ, রাজনৈতিক মহলের মতে, আসল লড়াইটা একুশে। সেই সময়ের জন্য মনোবল একত্রিত করে রাখতে চাইছেন মমতা।

Previous articleবাংলার তিন উপনির্বাচনের ফল নিয়ে কী বললেন অমিত শাহ?
Next articleপ্রজ্ঞার মন্তব্যের জন্য দল ওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে: অমিত শাহ