উপনির্বাচন- ফর্মূলাতেই পুরভোটের প্রার্থী বাছাইয়ে পিকে’র পরামর্শ

রাজ্যে শতাধিক পুরসভার ভোট আসন্ন৷ কলকাতার পুরভোটও একইসঙ্গে৷ পুরবোর্ড ঘাসফুলেরই দখলে থাকলেও
লোকসভা ভোটে সেসব পুর-এলাকার বেশিরভাগেই পরাজিত হয়েছিলো তৃণমূল৷
গত কয়েক মাস ধরে ইলেকশন-স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর বা পিকে অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে এর কারনও খতিয়ে দেখেছেন৷ পিকে-র পর্যবেক্ষণ, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরদের ভাবমূর্তি নিয়ে এলাকায় প্রশ্ন আছে৷
বেশিরভাগ কাউন্সিলরই জনসংযোগে আগ্রহ হারিয়েছিলেন৷ সে সবেরই প্রতিফলন ঘটেছিলো ভোটবাক্সে৷ আসন্ন পুরভোটের প্রাক্কালে তাই পিকে’র প্রাথমিক পরামর্শ, প্রয়োজনে ঢালাও বদল করতে হবে তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা৷ স্বচ্ছ ভাবমূর্তি এবং এলাকার সাধারন মানুষের পছন্দের নামকেই ভোটে দলের প্রার্থী করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে নেতৃত্বকে পরামর্শ দিয়েছেন পিকে৷ দলের তরফে এই প্রস্তাবে প্রথমদিকে প্রশ্ন তুলে বলা হয়েছিলো, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন মুখ বেশি সামনে আনা একটু ঝুঁকির হতে পারে৷ কিন্তু বিধানসভার তিন উপনির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল সাফল্যের ভিত্তিপ্রস্তরই ছিলো অঙ্ক কষে প্রার্থী বাছাই৷ এক্ষেত্রে পিকে’র পরামর্শে তৃণমূল প্রার্থী করে সঠিক ভাবমূর্তিসম্পন্ন মুখকে৷ এখানেই বিরোধীরা বেশ কয়েক কদম পিছিয়ে যায়৷ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সেভাবে অভিযোগই তুলতে পারেনি বিরোধীরা। তিন কেন্দ্রের ভোটাররা তৃণমূলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীদেরই সমর্থন করেছেন।
সূত্রের খবর, উপনির্বাচনে প্রার্থী চয়নে বেনজির সাফল্য মেলার পর আগামী পুরভোটের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও সম্ভবত পিকে’র কৌশলেকেই সবুজ সংকেত দিতে চলেছে তৃণমূল৷ প্রশান্ত কিশোরের প্রার্থী-পরিকল্পনায় এখন চূড়ান্ত ঘষামাজা চলছে৷ দলের সিলমোহর লেগে গেলে আসন্ন পুরভোটে হয়তো রেকর্ডসংখ্যক তৃণমূল কাউন্সিলর দলের প্রার্থীপদ নাও পেতে পারেন। তবে পিকে-র প্রস্তাব এখনও বিবেচনাধীন৷

Previous articleমেসি কী পাচ্ছেন ফের ‘ব্যালন ডি’অর’? জল্পনা তুঙ্গে
Next articleঅর্থমন্ত্রী নির্মলাকে ‘নির্বলা’ বলে বিতর্কে পড়লেন অধীর