লড়াই শেষ, মৃত্যুই হলো উন্নাও-এর সেই নির্যাতিতার

শেষপর্যন্ত মৃত্যুই হলো উন্নাও-এর নির্যাতিতার৷ চিকিৎসকদের যাবতীয় লড়াই বিফলেই গেলো, হাসপাতালে মারা গেলেন উন্নাও নির্যাতিতা৷ তেলেঙ্গানার ধর্ষকদের

এনকাউন্টারে শেষ করার রাতেই উন্নাও-এর ধর্ষিতার লড়াই থেমে গেলো৷ চিকিৎসকরা মরিয়া চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেননি তাঁকে৷ শুক্রবার রাত 11.40 নাগাদ থেমে যায় শ্বাস, মারা যান উন্নাও-এর সেই নির্যাতিতা৷
উন্নাও গণধর্ষণ কাণ্ডের অভিযুক্তরা জামিনে ছাড়া পেয়েই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো হতভাগ্য সেই নির্যাতিতার ওপর৷
আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে ধর্ষিতাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে ধর্ষকরা৷। প্রায় 90 শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় ধর্ষিতাকে ভর্তি করানো হয় লখনউয়ের একটি হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে তাঁকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ হাসপাতালের বার্ন ও প্ল্যাস্টিক বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সলভ কুমার বলেন, ‘রাত 11.40 মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওই তরুণী। তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি৷ মারা যান ধর্ষিতা৷’
উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে গত মার্চে 5জন মিলে ধর্ষণ করে ওই মহিলাকে। ধর্ষিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করে। বাকি দু’জন এখনও ফেরার। কিন্ত অভিযুক্তদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়৷ জেল থেকে বেরিয়ে দুই অভিযুক্ত বৃহস্পতিবার তাদের বন্ধুদের নিয়ে ধর্ষিতার গ্রামে যায়।
ওই সময় ধর্ষিতা ছিলেন রেল স্টেশনের কাছে। আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য মা-বাবার সঙ্গে ট্রেনে রায়বেরেলি যাওয়ার কথা ছিলো৷। কিন্তু তার আগেই স্টেশনে গিয়ে অভিযুক্তরা ধর্ষিতাকে জোর করে টেনে নিয়ে গ্রামের বাইরে একটি ধানখেতে নিয়ে যায় তারা। সেখানে ধর্ষিতার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়৷ মলিলাটিকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ সেখান থেকে লখনউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান নির্যাতিতাকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়৷ তাতেও বাঁচানো সম্ভব হল না৷

Previous articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleসভাপতি মনোনীত হওয়ার পরই পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু বিজেপি নেতার