চিঠির তথ্য প্রকাশ্যে আনতে চান ধনকড়, ক্ষুব্ধ পার্থ : দীর্ঘসূত্রিতার ফাঁদ

এসসি-এসটি বিল নিয়ে তৃণমূল বিধায়কদের ধরণা প্রসঙ্গে ট্যুইট করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় জানালেন, বিল সংক্রান্ত বিষয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে তাঁর যে চিঠির লেনদেন হয়েছে তা যেন বিধানসভাকে জানান অধ্যক্ষ। পাল্টা ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, দুই ব্যক্তির মধ্যে মত বিনিময়ের চিঠি কেন সর্বসমক্ষে আনা হবে? আসলে রাজ্যপাল অভিযোগ তুলে বিলকে আইনে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করছেন। উপ-মুখ্যসচেতক সমীর চক্রবর্তীর বক্তব্য, ব্যক্তিগত পর্যায়ে রাজ্যপাল-অধ্যক্ষের কথা বইধানসভায় জানানোর কথাই নয়। বিধানসভার কর্মসূচি আছে। রাজ্যপালের সঙ্গে অধ্যক্ষের কথোপকথন সদস্যরা মোটেই জানতে চান না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, রাজ্যপাল একটি চিঠি দিয়েছেন অধ্যক্ষকে। কিন্তু সেই চিঠি যথাযথ হাতে যাওয়ার আগে সংবাদ মাধ্যমে যায় কী করে! এ জিনিস ভাবাই যায় না! গোপনীয়তা তাহলে রইল কোথায়? বিলের কিছু অংশ নিয়ে আপত্তি ছিল কংগ্রেস ও সিপিএমেরও। তৃণমূল তখন জানিয়েছিল, রাজ্যপাল বিরোধীদের কথাই শুনছেন। বিরোধিতা বাড়িয়ে রাজ্যপাল জবাব দিয়েছিলেন, তিনি শুধু সরকারের বক্তব্যে সিলমোহর দেওয়ার জন্য অফিসে বসে নেই। মূলত তিনটি বিল নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল বিবাদ প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে প্রকাশ্যে।

Previous articleনাগরিকত্ব বিল বিরোধিতায় তৃণমূলের পাশে নেই মতুয়া মহাসংঘ
Next articleবাঙালির নোবেলপ্রাপ্তির সেই মাহেন্দ্রক্ষণ