অসমের বিক্ষোভ আলাদা, গুলিয়ে ফেলবেন না

কলকাতা শহর সহ গোটা রাজ্য আজ উত্তাল হয়েছে ক্যাব বিরোধী আন্দোলনে..এনআরসি বিরোধী জনমত ক্রমেই জমা বাঁধছে..

আর এই পরিস্থিতিতেই আরো একবার স্পষ্ট করেই বলা দরকার অসমের আন্দোলন, বিক্ষোভ, উত্তেজনা যা ঘটে চলেছে গত কয়েকদিন ধরে তার সঙ্গে মৌলিক ফারাক রয়েছে আমাদের ক্যাব বিরোধী আন্দোলনের…গুলিয়ে ফেলবেন না, সংবেদনশীল ইস্যু, ফাঁদে পা দেবেন না।

১) অসমের এই আন্দোলন এনআরসি’র পক্ষে, এবং প্রবল ভাবেই। আসামের এই আন্দোলন ডিটেনশন ক্যাম্পের পক্ষে, ডিটেনশন ক্যাম্পের ফাঁক দিয়ে ক্যাবের হাত ধরে কোন ‘অনুপ্রবেশকারী’ যেন ছাড় না পায়, আন্দোলন হচ্ছে তারই পক্ষে। ওদের আন্দোলন ক্যাব ছাড়াই এন আর সি’র পক্ষে- সমস্ত বাঙালীকে তাড়াতে হবে।
২) ১৯ লক্ষ মানুষ যখন এনআরসি’র তালিকার বাইরে চলে গেলো, তখন এরা কেউই পথে নামেনি, ঢিল ছোঁড়েনি, গাড়িও পোড়ায়নি। এনআরসি’র পক্ষে মত দিয়েছিল, চূড়ান্ত তালিকা বেরোনোর পরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিল এবং বিজেপি’কে ঢেলে ভোটও দিয়েছিল।
৩) এই আন্দোলন বিজেপি’র ঘৃণার রাজনীতি বনাম আসু/ অগপ’র উগ্র ভাষিক বিদ্বেষের লড়াই।
৪) এই আন্দোলনের নিয়ন্ত্রন কোন সংঘটিত শক্তির হাতে নেই, বিপদজনক মোড়ে নিয়ে এসে দাড়াতেই পারে এই আন্দোলন, তার ইঙ্গিতও মিলছে। ভাষিক বিদ্বেষ ক্রমেই জমাট বাঁধছে।
৫) আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ব্রম্মপুত্র ও বরাক উপত্যকার লক্ষ লক্ষ বাঙলাভাষী মানুষজন।
৬) পশ্চিমবঙ্গে ক্যাব বিরোধীতার সঙ্গে কোনভাবেই অসমের এই তথাকথিত ক্যাব-বিরোধী আন্দোলনের তুলনা করা যাবেনা।

সতর্ক থাকুন,আপনার ক্যাব বিরোধী লড়াই, মানসিকতা, এন আর সি বিরোধী আন্দোলনের দায়বদ্ধতা যেন ভুলপথে পরিচালিত না হয়। শুধু একটাই আলোরেখা- বিজেপি শাসিত রাজ্য এভাবে হাজার হাজার মানুষ মিলিট্যান্ট বিক্ষোচ কর্মসুচীতে নেমেছে- শুধু এটুকুই। কিন্তু নেমেছে আসলে আরো উগ্রভাবে এনআরসি’কায়েমের দাবিতে।

Previous articleমোদি, অমিতেরও সফর বাতিল, কী বলবে বিজেপি?
Next articleবাংলাদেশে দূতাবাসের কনভয়ে হামলা,ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করেছে বাংলাদেশ