গরচা-খুনে পরতে পরতে কিসসা, মেয়ের প্রেমিকই মায়ের ‘হার্ট বিট’

গরচা রোডে বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই সামনে আসছে পারিবারিক সম্পর্কের অলিগলি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ঊর্মিলা ঝুন্ডের বড় পুত্রবধূ, নাতনি ও নাতনির প্রেমিক সৌরভ পুরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সৌরভ শুধু বৃদ্ধার নাতনি কণিকা ওরফে গুড়িয়ার প্রেমিক ছিলেন না, তাঁর মায়ের সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সৌরভের। ফেসবুকে গুড়িয়া সঙ্গে আলাপ পাঞ্জাবের ব্যবসায়ী সৌরভ পুরীর। সেই সূত্রেই গুড়িয়ার মায়ের সঙ্গেও আলাপ হয় তাঁর। গুড়িয়া ক্লাস টেনের ছাত্রী হলেও তাঁর বয়স ১৮ পেরিয়েছে। সৌরভের ফোন নম্বর ‘হার্ট বিট’ বলে নিজের ফোনে সেভ করেছিলেন গুড়িয়া। এদিকে ডিম্পলের বাপের বাড়ি পাঞ্জাবে। সেই সূত্র সৌরভের সঙ্গে যোগাযোগ হয় বয়সে প্রায় ১৮ বছরের বড় ডিম্পলের। মেয়ের প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে গুড়িয়ার মায়েরও। তাদের মধ্যে চলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকেই সেটা জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

লালবাজারের তদন্তকারী আধিকারিকদের মতে, সৌরভের সঙ্গে মিলে ঊর্মিলাকে খুন করার পরিকল্পনা করেন ডিম্পল। পরে তারা এই পরিকল্পনায় তাঁরা সামিল করেন গুড়িয়াকে।

পুলিশ জেরায় জানতে পেরেছে, সৌরভকে প্রলোভন দেখান ডিম্পল। বৃদ্ধাকে মেরে যে টাকা, সম্পত্তি পাওয়া যাবে তা দিয়ে কলকাতায় হোটেল খুলে দেবেন সৌরভকে। গুড়িয়াকে বিয়ে করে কলকাতার ফ্ল্যাটেই থাকতে পারবেন তাঁরা। এই প্রলোভনে পা দিয়েই মা-মেয়ের সঙ্গে মিলে বৃদ্ধাকে খুনে রাজি হয়ে যান সৌরভ। আদালত তিনজনেরই ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এরমধ্যেই তিন অভিযুক্তকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন-CAA-র প্রতিবাদে রবিবারও জেলায় জেলায় চলছে বিক্ষোভ, অবরোধ

 

Previous articleCAA-র প্রতিবাদে রবিবারও জেলায় জেলায় চলছে বিক্ষোভ, অবরোধ
Next articleপ্রত্যেক ঘরের সন্তানের আদর্শ হোক সতেরোর যশস্বী