নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে যখন তোলপাড় ভারত, তখন খোদ রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে উঠে এল পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন ও সাংঘাতিক বৈষম্যের চিত্র। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক বানিয়ে রাখার জন্য ইমরান সরকারকে তুলোধনা করেছে রাষ্ট্রসংঘ। বলা হয়েছে, প্রশাসনের মদত, গাফিলতি ও উদাসীনতায় পাকিস্তানে থাকা ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা অবর্ণনীয় দুর্দশায় পড়ছে। পাকিস্তানের শাসকদল তেহরিক-ই-ইনসাফের কার্যকলাপ সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব সংকটের জন্য দায়ী।

রাষ্ট্রসংঘের কমিশন অন দ্য স্টেটাস অফ উইমেনের রিপোর্টে পাকিস্তানে বসবাসকারী ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্টের শিরোনাম: আক্রমণের মুখে পাকিস্তানের ধর্মীয় স্বাধীনতা। রিপোর্টে পাকিস্তানে নৈরাজ্য ও হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কার্যত একঘরে করা হচ্ছে। পাকিস্তানে প্রতি বছর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়েদের অপহরণ করা হচ্ছে। জোর করে ধর্ম বদল করিয়ে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ মেয়েই এরপর আর নিজের পরিবারে ফিরতে পারছে না। ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হয়ে আছে। পাকিস্তানে হিন্দু ও খ্রিস্টানদের অবস্থা ভয়াবহ, বিশেষত মহিলাদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাক-পাঞ্জাব ও সিন্ধু প্রদেশে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশের ১৮ বছরের কম বয়সী সংখ্যালঘু মেয়েদের বারবার অপহরণ ও জোর করে বিয়ের ঘটনা উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছেছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইনে প্রতিবেশী তিন দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিপীড়নের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সিরা ধর্মীয় উৎপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে এলে তাদের আশ্রয় ও নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
