গণতন্ত্র মেনেই নাগরিকত্ব বিল আইনে পরিণত হয়েছে, দাবি রাজ্যপালের

“CAA দেশের জন্য একটি ইতিবাচক আইন। গণতন্ত্রে যা বলা আছে, সেই ভাবেই এই বিলকে আইনে পরিণত করা হয়েছে। রাজ্যের সংবিধান প্রধান হিসাবে সকলের কাছে অনুরোধ, ভুল বুঝবেন না। এই আইন দেশের কোনও মানুষের বিরুদ্ধে নয়।” বুধবার রাজভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

এরপরই রাজ্যপাল বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলি কী করছে বা ভাবছে সেটা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য চাইছি না। কিন্তু যারা সরকারে আছে, তাদের এই আইন মেনে চলা উচিত। যেমন ভাবে আমি আইনে বাঁধা আছি। ঠিক সেইভাবেই রাজ্য সরকারও আইনে বাঁধা আছে। আমি আশাবাদী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আমার সঙ্গে আলোচনা করবেন, এবং সেই আলোচনা হবে রাজ্যের জন্য ইতিবাচক।”

অন্যদিকে, এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। সেই প্রসঙ্গে ধনকড় বলেন, “মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। ওনাদের সঙ্গে আমি ৭০ মিনিটের বৈঠক করেছি। রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চেয়েছি। আমি আমার বক্তব্যও তাঁদের জানিয়েছি।”

মুখ্যসচিব ও ডিজিপি তাঁকে তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ধনকড়। রাজ্যপাল বলেন, “মুখ্যসচিব ও ডিজিপি-এর কাছে আমি রাজ্যের মানুষের ইচ্ছা জানতে চেয়েছিলাম, কারণ যে ঘটনা ঘটছে সেটা আমার জানা দরকার।”

মালদা-মুর্শিদাবাদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে তিনি যেতে পারেন বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, “মালদা-মুর্শিদাবাদের ঘটনায় আমি মর্মাহত। তবে আমরা পিছনের দিকে তাকাতে চাইছি না। আমাদের লক্ষ্য সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে কীভাবে সব ঠিক করা যায়। আমি চাই, সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আমার কথা হাওয়া উচিত।”

আরও পড়ুন-তাঁর নামে ফেক ভিডিও চালানোর অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী

 

Previous articleসিংহ রাশির ২০২০ কেমন যাবে?
Next articleহাওড়ায় ইন্টারনেট বন্ধের সময়সীমা বাড়ল