এবার সমালোচনার মুখে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। কোনও কারণ না জানিয়ে তিনি বাতিল করলেন মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক। দিন কয়েক আগে মার্কিন বিদেশ দফতর থেকে সমালোচনা করা হয় কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে। সেই কারণেই বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। সেই ধারণা আরও স্পষ্ট করে জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে যে ধারণা পোষণ করা হয়েছে, আমার মনে হয় তা সঠিক নয়। মার্কিন সফরে জয়শঙ্করের বৈঠক করার কথা ছিল মার্কিন বিদেশ দফতরের সদস্যদের সঙ্গে যে প্রতিনিধি দলে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন এমপি প্রমীলা জয়পালও।

এই প্রমীলা জয়পালকে নিয়েই জয়শঙ্করের সমস্যা। তিনি বলেছিলেন, কাশ্মীরে ১৩৪দিন ধরে ইন্টারনেট বন্ধ রেখেছে সরকার। এটা গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ। তারপরই জয়শঙ্কর জানান, ওই বৈঠকে প্রমীলা না থাকলে তিনি আলোচনায় বসতে পারেন। কিন্তু মার্কিন প্রতিনিধি দলের প্রধান এলিয়ট অ্যাঞ্জেল সাফ জানান এই অনুরোধ রাখা সম্ভব নয়। জয়শঙ্কর এরপর তাঁর সফর বাতিল করেন। পাল্টা প্রমীলা বলেন, ভারতের মোদি সরকার যে বিরুদ্ধ কোনও মত গ্রহণ করতে পারে না, তার উদাহরণ এই ঘটনা। কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা জরুরি ছিল। যতটা জরুরি ছিল না কে বৈঠকে থাকবেন বা থাকবেন না। পাল্টা জয়শঙ্কর বলেন, কেউ যদি খোলা মনে আলোচনার চাইতে আগাম সিদ্ধান্ত তৈরি করে বৈঠকে বসেন, সেই বৈঠকের নির্যাস মোটেই ফলপ্রসূ হয় না। ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে ট্যুইট করে মোদি সরকারের অসহিষ্ণুতাকে এক হাত নিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর।
