মধ্যযুগীয় প্রতিহিংসা চরিতার্থ করায় মদত দিচ্ছে খোদ বিচারব্যবস্থাই? পাকিস্তানের সন্ত্রাস দমন আদালতের রায়ের পর এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে।

সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাপ্রধান তথা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মুশারফকে দেশদ্রোহের অভিযোগে ফাঁসির সাজা দিয়েছে পাক আদালত। সেই রায়েই বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগেই যদি মুশারফের মৃত্যু হয়, তাহলে তাঁর মৃতদেহ ইসলামাবাদের ডি-চকে তিনদিন ধরে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। এই ডি-চক পাকিস্তানের পার্লামেন্টের কাছেই অবস্থিত। পেশোয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমেদ শেঠের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই চাঞ্চল্যকর রায় দিয়েছে। অতীতেও এধরনের প্রতিহিংসা প্রদর্শনমূলক রায় দিয়েছিল পাক আদালত। যেখানে এক সিরিয়াল কিলারকে মেরে তার দেহ টুকরো টুকরো করার নিদান দিয়েছিল খোদ বিচারব্যবস্থাই।

এদিকে দুবাইতে চিকিৎসারত মুশারফ বলেছেন, দীর্ঘদিন দেশের সেবা করেছি। তারপরেও ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এই মামলা ও এই সাজা। তাঁকে বা তাঁর আইনজীবীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট।
জেনারেল মুশারফের বিরুদ্ধে এই রায়ে অসন্তুষ্ট পাক সেনাও। এক বিবৃতিতে পাক সশস্ত্রবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেছেন, যিনি 40 বছর ধরে দেশের সেবা করেছেন, দেশকে রক্ষা করার লড়াই লড়েছেন, তিনি কখনও দেশদ্রোহী হতে পারেন না। আদালত সংবিধানকে উপেক্ষা করেছে।
