মন্টি জয়সওয়াল। রোজভ্যালি চিটফান্ড কেলেঙ্কারি মামলায় একসময় নামটি বারবার ঘুরে ফিরে আসত। অন্যতম সাক্ষী ছিলেন এই মামলার। সংস্থার কর্ণধার গৌতম কুণ্ডর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সেই মন্টির হঠাৎ অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। গত ১২ডিসেম্বর তার মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি, মন্টি আত্মহত্যা করেছে। মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে আলিপুর এলাকায় যেখানে মন্ত্রীর বাবা-মা থাকতেন। যদিও বেহালায় স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে তার আলাদা বাড়ি ছিল। স্ত্রী বর্ণালীর বক্তব্য, ঘটনার পর থেকেই চাকরি খুঁজছিল। কিন্তু রোজভ্যালি মামলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে জানার পর তাকে কেউ চাকরি দিত না। তখন থেকেই অবসাদ শুরু হয়। তবে বিগত কয়েক মাস থেকে নতুন করে কাজ শুরু করেছিল। মনে হচ্ছিল হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পাচ্ছে। কিন্তু কোথা থেকে কী হয়ে গেল বুঝতে পারছি না! নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর গৌতম কুন্ডুর সঙ্গে তার সম্পর্ক ক্ষীণ হয়ে এসেছিল।
রোজভ্যালির আমানতকারীদের থেকে টাকা তুলতে মন্টি। সেই সূত্রেই গৌতম কুন্ডুর ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন তিনি। গৌতমের গ্রেফতারের পর তাকেও তদন্তকারী সংস্থা জেরা করে এবং প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তার থেকে পাওয়া গিয়েছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। গৌতম জেলে থাকাকালীন সম্পর্ক রাখতেন এবং তার মামলা-মোকদ্দমা চলাকালীন আদালত কিংবা হাসপাতালেও তাকে দেখা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শেষ দিকে কয়েকজন কাবুলিওয়ালার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন মন্টি। সেই ধার শোধ করতে পারছিলেন না। যদিও সুইসাইড নোটে এসব কথা কোথাও লেখা নেই।