কারও দেশ ছিনিয়ে নেওয়া হবে না, রামলীলা ময়দান থেকে মোদির জবাব

0
4

দেশের নাগরিকদের জন্য মোটেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নয়। এই আইন নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার নয়, নাগরিকত্ব দেওয়ার। দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগে এই কথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

রামলীলা ময়দান এদিন ভর্তি ছিল মোদির কথা শুনতে। প্রথমে শুরু করেছিলেন দিল্লির উদ্বাস্তুদের ঘর দেওয়া কিংবা কলোনি তৈরি করার বিষয় নিয়ে। কিন্তু তারপরেই সরাসরি আসেন এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে। করলেন শহরের কিছু পড়াশোনা করা মানুষ অন্য কারো কাছে দেশের মুসলিমদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে আমার প্রশ্ন ডিটেনশন ক্যাম্প দেশের কোথায় আছে এসব কংগ্রেস আর আকবর নকশালদের মিথ্যা প্রচার আর এটাকে হাতিয়ার করেই মানুষের সম্পত্তি ধ্বংস করা শুরু হয়েছে।

নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে মোদি বলেন, সে হিন্দু হোক বা মুসলিম হোক, যে ধর্মেরই মানুষ হোক এই আইন দেশের মানুষের জন্য নয়। সংসদে বারবার বলেছি। আবার বলছি এই আইন দেশের ১৩০কোটি মানুষের জন্য নয়। আর এনআরসি? এতো কংগ্রেস আমলে তৈরি হয়েছিল। ওরা বানিয়েছিল। এখন আমাকে কেন দোষ দেওয়া হচ্ছে? আমরা তো সুপ্রিম কোর্টকে সম্মান জানিয়ে নির্দেশ মেনে সেটা পালন করেছি মাত্র। তাও অসমের ক্ষেত্রে।

পাকিস্তান থেকে আসা উদ্বাস্তুদের যন্ত্রণা প্রসঙ্গে বলেন, ও দেশের সংখ্যালঘুদের উপর কী ধরণের অত্যাচার হয় সারা পৃথিবী জানে। ওখানে কোনও সংখ্যালঘু চায়ের দোকানে চা পান করলে তাকে চায়ের ভাঁড়েরও দাম দিতে হয়। সেই ভাঁড় ঘরে নিয়ে যেতে হয়। ওরা যখন এদেশে সেই কথা বলে সেই কথাগুলো একবার আপনারা শুনুন না!

শরণার্থী এবং অনুপ্রবেশকারী বিষয়টি উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনও মানুষ পাকিস্তান থেকে এলেন। এবার ভারতের কোন শহরের সরকারি দফতরে গিয়ে যদি বলেন পাকিস্তান থেকে এসেছি আমাকে সাহায্য করুন। কিন্তু কোনও অনুপ্রবেশকারী এই কথা বলে না। সে নিঃশব্দে মানুষের সঙ্গে মিশে যায়। এখন অন্য দেশ থেকে আসা এসব নিপীড়িত মানুষকে আশ্রয় দেওয়া উচিত কি উচিত নয়, তা আপনারই বলুন। এদের আশ্রয় দেওয়ার কথা বলেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। আর সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন ১০ বছরের প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং।

আরও পড়ুন-রামলীলা ময়দান থেকে লাইভ নরেন্দ্র মোদি