আজ, সোমবার কার্যত ‘রবাহুত’ হয়েই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেখানে গিয়ে সম্ভবত বোঝানোর চেষ্টা করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে তিনি কতদূর যেতে পারেন৷ ওদিকে যাদবপুরের পড়ুয়াদের সিংহভাগ তৈরি বিক্ষোভ দেখানোর জন্য৷ ফলে ধরেই নেওয়া যায় আজ বেলা ২টো নাগাদ ফের খবরের শিরোনামে আসতে চলেছে দেশের অন্যতম সেরা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান৷

সমাবর্তন বা বিশেষ সমাবর্তন বাতিলের ক্ষমতা বিধি অনুসারে ঠিক কার হাতে তা বুঝিয়ে রবিবারই উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে চিঠি দিয়েছেন ধনখড়।চিঠিতে তিনি বলেছেন, সমাবর্তন বাতিল করার ক্ষমতা কর্মসমিতির এক্তিয়ারে নেই।এই সমাবর্তন ‘বেআইনি’ বলেও তিনি দাবি করেছেন৷ রাজ্যপাল হুমকি দিয়েছেন তাঁর এই অসম্মান ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। রাজ্যপাল চিঠিতে বলেছেন, বেআইনি সমাবর্তনে অংশ নিয়ে এবং শংসাপত্র নিয়ে বিপাকে পড়তে পারেন পড়ুয়ারা। যাদবপুর ঘিরে চলতি বিতর্কে রাজ্য সরকারকে নিশানা করে রাজ্যপাল বলেছেন, “এঁরা জানেন না এঁরা কী করছেন। সবজি কাটার ছুরি দিয়ে বাইপাস সার্জারি করছে।” রাজ্যপালের এ ধরনের উক্তিতে মোটেই বিচলিত নয় রাজ্য সরকার ৷ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ সব হুমকির উত্তরে বলেছেন, “ওঁকে আর কী বলব বলুন? ওঁকে এত গুরুত্ব দেওয়ারই বা কী আছে? প্রত্যেক দিনই তো কিছু না কিছু বলছেন।”
তবে, বিশ্ববিদ্যালয় কার কথায় সিদ্ধান্ত নেবে, কর্মসমিতি না আচার্য, সে বিতর্কের নিষ্পত্তি যেভাবেই হোক, আজ ধনখড় বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে যাদবপুর কিছুটা হলেও অশান্ত হবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত৷
