চিড়িয়াখানায় উদ্বোধন হওয়া ফলকের ভাষা কোন অফিসারের, তদন্ত হোক

“মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা”-কে এবার একেবারে সিংহের সঙ্গম-স্তরে নিয়ে গেলেন আলিপুর চিড়িয়াখানা এবং-অথবা বন দফতরের পদস্থ অফিসাররা৷

রবিবার আলিপুর চিড়িয়াখানায় ‘বড়দিনে কলকাতার নতুন আকর্ষণ’ হিসাবে নিশাচর প্রাণী এবং বন্য কুকুরদের নতুন ঘেরাটোপের উদ্বোধন করা হয়৷ একইসঙ্গে উদ্বোধন হয় চিড়িয়াখানাতেই জন্ম নেওয়া সিংহ শাবকদের জন্যও আর একটি ঘেরাটোপের৷ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুজিত বসু৷
আর এই অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসাবে দুই মন্ত্রী দু’টি ফলকের উদ্বোধন করেন৷ বিতর্ক দেখা দিয়েছে এই দুই ফলকের ভাষা নিয়ে৷ এ ধরনের ফলকের ভাষা দেখা মুখ্যমন্ত্রীর কাজ নয়৷ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় মন্ত্রীরাও এ সব দেখেন না৷ গোটা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেন বিভাগীয় অফিসাররা৷ এক্ষেত্রে যেমন ফলকের ভাষা দেখার কাজ দেখেছেন আলিপুর চিড়িয়াখানা আর বন দফতরের পদস্থ অফিসাররা৷ আর এই অপরিনত মেধার অফিসাররাই সমালোচনাযোগ্য এই বে-নজির কাণ্ডটি ঘটিয়ে দিয়েছেন৷
এদিন উদ্বোধন হওয়া দু’টি ফলকের একটিতে লেখা, “পশ্চিমবঙ্গের মাননীযয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় আলিপুর চিড়িয়াখানাতেই জন্ম নেওয়া সিংহ শাবকদের…..”৷ এই ভাষা রাজ্যের কোন আধিকারিক বা আধিকারিকরা অনুমোদন করলেন? বাংলাভাষা সম্পর্কে তাঁর বা তাঁদের ন্যূনতম ধারনা আছে?

“মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায়” কথাটিকে এনারা কোন আক্কেলে সিংহের সঙ্গম-স্তরের পর্যায়ে নামিয়ে দিলেন, তার কৈফিয়ত তো ওই বোদ্ধাদেরই দিতে হবে৷ এর তদন্ত হওয়াও প্রয়োজন৷ কোন শব্দ কোথায় ব্যবহৃত হয়, সে সম্পর্কে এখনই তাঁদের প্রয়োজনীয় পড়াশুনো দরকার৷
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা মাননীয় দুই মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, দৃষ্টি এবং শ্রুতিকটু ওই লাইনটি অনুগ্রহ করে
এখনই বদল করে শোভন-ভাষায় নতুন ফলক স্থাপনের উদ্যোগ নিন৷

Previous articleকটকে দুরন্ত রান তাড়া ভারতের, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজ জিতল ভারত
Next articleঝাড়খণ্ডও কি বিজেপি-র হাতছাড়া হবে? উত্তর মিলবে আজ