ঘুমের মধ্যেই আজ চলে যান চার্লি চ্যাপলিন

মঞ্চনাটক দেখতে গিয়ে একবার এক কিশোরের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হলেন আর্থার কোনান ডয়েল। ছেলেটিকে কাছে ডেকে বললেন, ‘চালিয়ে যাও। তোমার মধ্যে প্রতিভা আছে। অনেক নাম হবে তোমার।’ শুনে ছেলেটি প্রস্তাব করল, ‘আপনি আর আমি কি একসঙ্গে কাজ করতে পারি? দুজনের আয় না হয় সমান ভাগে ভাগ করে নেব।’ এমন ধৃষ্টতা দেখে কিছুটা বিরক্তই হয়েছিলেন ডয়েল। বাচ্চা ছেলের আবদার ভেবে তিনি খুব একটা পাত্তা দেননি। বড় হয়ে সেই কিশোর সত্যিই দুনিয়া মাতিয়েছিল। আর তিনি চার্লি চ্যাপলিন।

 

পুরো নাম: স্যার চার্লস স্পেন্সার চ্যাপলিন

জন্ম: ১৬ই এপ্রিল, ১৮৮৯, লন্ডন, ইংল্যান্ড

মৃত্যু: ২৫ শে ডিসেম্বর, ১৯৭৭, ভিভে, সুইজারল্যান্ড

পেশা: অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার ও সংগীতকার

বাবা: চার্লস স্পেন্সার চ্যাপলিন সিনিয়র

মা: হান্নাহ হেরিয়েট চ্যাপলিন

স্ত্রী: মিলড্রেড হ্যারিস (১৯১৮ – ২০), লিটা গ্রে (১৯২৪ – ২৭), পোলেট গোদা (১৯৩৬ – ৪২), উনা ও-নিল (১৯৪৩ – ৭৭)

চ্যাপলিন কি কমিউনিস্টপন্থী ছিলেন? এ নিয়ে বিতর্ক বিস্তর। চার্লি চ্যাপলিন বেশ কিছু বিতর্কিত রাজনৈতিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘দ্য গ্রেট ডিক্টেটর’। এখানে চ্যাপলিন জার্মানির নাৎসি নেতা এডলফ হিটলারের একটি ব্যঙ্গাত্মক চরিত্রে অভিনয় করেন। আর এসবের সূত্র ধরেই তাঁকে কমিউনিস্টপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করে আমেরিকা। তবে শেষ পর্যন্ত গোয়েন্দারা চ্যাপলিনের ছদ্মনাম নিয়ে কোনও প্রমাণ খুঁজে পাননি। তবে এটা ঠিক যে আমেরিকাকে ভালো চোখে দেখতেন না চ্যাপলিন। ১৯৫২ সালে আমেরিকা ফেরার ব্যাপারে তিনি অনিচ্ছা দেখিয়ে সুইজারল্যান্ডে বসবাস শুরু করেন।

মেয়ের বয়সী দ্য ফিককে বিয়ে করে চ্যাপলিন শেষ বয়সে চলে যান সুইজারল্যান্ডে। সেখানে শেষ কয়েক বছর অসুস্থ অবস্থায় কাটিয়ে ১৯৭৭ সালের ২৫ডিসেম্বর ঘুমের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়।

 

আরও পড়ুন-মাইনাস ২৬.৭ডিগ্রি! বরফের চাদরে কাশ্মীর-লাদাখ-দ্রাস-লেহ

 

Previous articleমাইনাস ২৬.৭ডিগ্রি! বরফের চাদরে কাশ্মীর-লাদাখ-দ্রাস-লেহ
Next articleউইসডেনের দশকের সেরা ক্রিকেটারের তালিকায় ঢুকলেন বিরাট কোহলি