হিন্দু ‘চাচাদের’ উদ্যোগে বিয়ে বাঁচল মুসলিম ‘ভাইঝির’

সিএএ-র বিরোধিতায় যখন জ্বলছে যোগীর রাজ্য, নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করে পুলিশের গুলিতে মৃত একাধিক বিক্ষোভকারী, তখন এক সম্প্রীতির ছবি দেখল কানপুর তথা সারা দেশ।

অশান্তির আবহেই ২১ তারিখ কানপুরের প্রতাপগড়ের বাসিন্দা হসনৈন ফারুকের বিয়ে ঠিক হয়েছিল কানপুরে বকরগঞ্জের পাত্রী জিনাতের সঙ্গে। শাদি করতে যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মধ্যে রাস্তায় আটকে পড়েন বর ও বরযাত্রী। জিনাতের বাড়িতে ফোন করে পরিস্থিতি জানান তাঁরা। এই কথা কানে যায় প্রতিবেশী বিমল চাপাড়িয়ার। প্রতিবেশীর মেয়ের বিয়ে আটকে যেতে পারে শুনেই বিমল ডেকে নেন তাঁর দুই বন্ধু সোমনাথ ও নীরজ তিওয়ারিকে। সবাই মিলে মোট ৫০ জন জড়ো হন। বিয়েবাড়ি থেকে দেড়-দু’কিলোমিটার দূরে ফারুকদের কাছে পৌঁছন তাঁরা। মানববন্ধন করে ঘিরে ফেলেন ৭০ জন বরযাত্রীর দলটিকে। হিন্দুভাইদের ঘেরাটোপে নির্বিঘ্নে বিয়ের আসরে পৌঁছন বর সহ বরযাত্রী।

বিমল চাপাড়িয়া জানান, জিনাতকে ছোট থেকে দেখেছেন। তাঁর বিয়ে আটকে যাচ্ছে দেখে তিনি চুপ করে বসে থাকতে পারেননি। প্রতিবেশী হিসেবে এটা তাঁর কর্তব্য বলে মনে করেন বিমল। আর জিনাত জানিয়েছেন, ‘বিমল চাচা’র মতো পড়শিরা না থাকলে, তাঁর বিয়েটাই ভেঙে যেত।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও নাগরিক পঞ্জি নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভের আঁচ। ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদ তৈরির চেষ্টা চলছে চারদিকে। এর মধ্যে জিনাতের বিয়ের আসরে ‘বিমল চাচা’ আর বন্ধুদের ভূমিকা সম্প্রীতির এক অনন্য নজির সৃষ্টি করল।

আরও পড়ুন-ইসলামপুরে পরিত্যক্ত চা-বাগানের জমি দখল ঘিরে মৃত এক

 

Previous articleইসলামপুরে পরিত্যক্ত চা-বাগানের জমি দখল ঘিরে মৃত এক
Next articleমেঘ থাকায় সূর্যগ্রহণ দেখতে পেলেন না মোদি, তবে অনেক কিছু শিখলেন