রেকর্ড, রেকর্ড, রেকর্ড। আন্টার্টিকার তাপমাত্রাকে পিছনে ফেলে দিল দ্রাস, কারগিলের তাপমাত্রা। দ্রাসের তাপমাত্রা মাইনাস ৩১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কারগিলের তাপমাত্রা মাইনাস ২৭ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদরা বলছেন আন্টার্টিকার তাপমাত্রা এর চেয়ে বেশি। এই মুহূর্তে সেখানে মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা কার্যত সর্বকালীন রেকর্ড হতে চলেছে। শ্রীনগরে মাইনাস ৫.৭ ডিগ্রি, রাজস্থানের মাউন্ট আবুতে তাপমাত্রা গিয়ে দাঁড়ালো মাইনাস ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শৈত্যপ্রবাহ কম বলা হলো, গোটা উত্তর ভারতের জেলাগুলিতে বরফের আস্তরণ পড়া শুরু হয়েছে। এমন শীতকাল বহুবছর দেখেনি ভারত।

ঠান্ডায় কাঁপছে বাংলা সহ গোটা উত্তর ভারত। ভোর কিংবা রাতের কলকাতা শহরের তাপমাত্রা ১০-১১ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কনকনে ঠাণ্ডায় কার্যত জমে যাওয়ার মতো অবস্থা মানুষের। বর্ষবরণের রাতে এবং বর্ষবরণের দিনেও একইরকম পরিস্থিতি থাকবে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জনাচ্ছে। তবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং উত্তরের হাওয়ার সংঘর্ষে হবে এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। বৃষ্টি হতে পারে নববর্ষের বিকেল থেকে ৩জানুয়ারি পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে তবে বৃষ্টি কখনই মুষলধারে হবে না। দক্ষিণবঙ্গে বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, বর্ধমান, পুরুলিয়া, বীরভূমে তাপমাত্রা ৬-১০ডিগ্রির মধ্যে। উত্তরে কোচবিহার, দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, শিলিগুড়িতে ৮-৯ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। দার্জিলংয়ে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রির মধ্যে থাকছে।

হিমাচল ও তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে গিয়েছে কাশ্মীরের কারগিল, দ্রাস,কারগিল কুপওয়ারা, গুলমার্গ বরফে ঢেকে গিয়েছে। রাস্তায় পুরু বরফ, জলের পাইপে বরফ। জনজীবন কার্যত ব্যতিব্যস্ত। দিল্লিতে আজও তাপমাত্রা ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে শিলাবৃষ্টিরও পূর্বাভাস রয়েছে। গতকালই দিল্লি ১১৮ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। ৩৭ বছর পর প্রথমবার বরফ পড়েছে নাগাল্যান্ডের জুনেহোহোটো জেলায়।

আরও পড়ুন-মহারাষ্ট্রে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের সম্ভাবনা
