গঙ্গাসাগর মেলার জন্য এবার যা ব্যবস্থা নিতে চলেছে প্রশাসন

চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি শেষ। আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে গঙ্গাসাগর মেলা। আর আগে দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের সহযোগিতার জন্য একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক পি উলগানাথন এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি শামিমা শেখ জানিয়ে দিলেন মেলাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করবে যে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক মেলার জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা:

১) এবার গঙ্গাসাগর মেলায় ৪৫০ ‘সাগরবন্ধু’ নামাচ্ছে জেলা প্রশাসন। কাকদ্বীপ থেকে নদী পেরিয়ে ওপারে কচুবেড়িয়া থেকে চেমাগুড়ি হয়ে সাগর পয়েন্ট পর্যন্ত ভেসেল, বাস, বার্জে সর্বত্রই এই সাগর বন্ধুরা থাকবেন। কারও কোনও সমস্যা হলে, সঙ্গে সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন এই সাগর বন্ধুরা। এদের সঙ্গে কন্ট্রোল রুমের সরাসরি যোগাযোগ থাকবে। ফলে কোনও জরুরি অবস্থায় তীর্থযাত্রীদের সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম এই সাগর বন্ধুরা।

২) দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা যাতে যাতায়াতের পথেই জানতে পারেন, কোথায়, কীভাবে যেতে হবে— সেই জন্য পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমকে এবার বিস্তারিত তৈরি করা হয়েছে। মুড়িগঙ্গায় থাকা ১০০টি কাঠের নৌকা, ৩২টি ভেসেল এবং দু’টি বার্জ ছাড়াও সমস্ত বাস, অটো সহ সর্বত্রই এই ব্যবস্থা থাকবে। শুধুমাত্র বাংলায় নয়, অন্যান্য ভাষাতেও এই বার্তাগুলি বলা হবে।

৩) দুর্ঘটনামুক্ত মেলা করার লক্ষ্যে এবার পরিবহণ দপ্তরের তিনটি বিশেষ ক্যাম্প তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও ছ’টি ফ্লাইং স্কোয়াড তৈরি করা হয়েছে। এরা কচুবেড়িয়া থেকে সাগর পয়েন্ট পর্যন্ত চলাচল করা বিভিন্ন বাসের অবস্থা কীরকম রয়েছে, তা সবসময় খতিয়ে দেখবে। ইতিমধ্যে ৬০০ জন চালক এবং খালাসির বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। এবার কচুবেড়িয়া থেকে সাগর পয়েন্ট পর্যন্ত ৫৫০ ছোট গাড়ি এবং ২৩৫ বাস –মিনি বাস চলবে। সেখানে চালক এবং খালাসিদের কতটা পরিশ্রম হচ্ছে, সেবিষয়ে তাঁদের স্বাস্থ্যের দিকেও এবার বিশেষ নজর রাখা হবে। এছাড়া গাড়ি খারাপ হয়ে গেলে, দ্রুত পদক্ষেপের জন্য ১০টি ব্রেক ডাউন ভ্যান বিভিন্ন জায়গায় থাকবে।

৪) বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রেডক্রশ এবং ভারত সেবাশ্রম সংঘের সবমিলিয়ে সাত হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হচ্ছে এবার গঙ্গাসাগর মেলায়।

৫) অগ্নিনির্বাপণের ক্ষেত্রেও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।

৬) ১২টি ড্রোন থাকছে। যেগুলি উপর থেকে ভিড়ে ঠাসা মেলার উপর নজর রাখবে।

৭) কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে গ্রিন করিডর ব্যবস্থাও এবার প্রথম চালু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলায়।

আরও পড়ুন-কেরল বিধানসভায় পাশ CAA প্রত্যাহার প্রস্তাব

 

Previous articleহুগলির বিনোদন পার্কে বর্ষশেষের হৈচৈ
Next articleপৃথিবীতে এসে পড়ল 2020, উৎসব শুরু পুব থেকে