অজিত VS স্বপন লড়াইয়ে রেফারি জয়দীপ! ম্যাচ হবে ১১ই

ফুটবলের লড়াই এবার ময়দানের বাইরে। বলা ভাল, ফুটবলকে কেন্দ্র করে লড়াই এবার ভাইয়ে-ভাইয়ে। লড়াই বড় ভাই অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও ছোট ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে। অজিত ওরফে ষষ্ঠী বাংলা ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইএফএ’র সভাপতি। আর স্বপন ওরফে বাবুন কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা।

লড়াইয়ের সূত্রপাত, আইএফএ এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পঞ্চম থেকে দ্বিতীয় ডিভিসনগুলি বয়সভিত্তিক করে দেওয়া হবে। সেগুলি এরকম, পঞ্চম ডিভিশন-বি গ্রুপ অনূর্ধ্ব-১৬, পঞ্চম ডিভিশন-এ গ্রুপ অনূর্ধ্ব-১৭, চতুর্থ অনূর্ধ্ব-১৮, তৃতীয় ডিভিশন অনূর্ধ্ব-১৯ এবং দ্বিতীয় ডিভিশন খেলবে অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবলাররা। তৃতীয় ডিভিসন পর্যন্ত ক্লাবগুলি নিয়ে আলোচনা হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় ডিভিশন নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী ১১জানুয়ারি বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকের জন্য আইএফএ’র পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় ডিভিশনের ১৪টি ক্লাবকে ইতিমধ্যেই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়।

তবে এই সভার আগেই দ্বিতীয় ডিভিশনের দু’টি দল আইএফএ-র এই বয়স ভিত্তিক দল গঠন নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলেছে। যার মধ্যে একটি ক্লাব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশন। আর অন্য ক্লাবটি নিউ আলিপুর সুরুচি সংঘ, যার কর্তা স্বরূপ বিশ্বাস, যিনি আবার ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই। দুই কর্তাই বোমা ফাটানোর ভঙ্গিতে বলেছেন, তাঁরা এই বয়সভিত্তিক ডিভিশন মানছেন না, মানবেন না।

এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে আইএফএ সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বাংলার ফুটবলের উন্নতির জন্য আমরা কোনও বাধাই মানব না। এখনও পর্যন্ত আইএফএ’র সিদ্ধান্ত অন্যান্য ডিভিশনের মতো দ্বিতীয় ডিভিশনও বয়সভিত্তিক হবে।”

“যুক্তি হিসেবে অজিতবাবু বলেছেন, “গোটা বিশ্বে বয়সভিত্তিক কাঠামোতেই লিগগুলি হয়ে থাকে। আমরা বিশ্বের বাইরে নই। তাই ফুটবলার উন্নতির স্বার্থে ক্লাবগুলোকে সহমত পোষণ করা উচিত। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট করলে বিভিন্ন বয়সের ফুটবলার উঠে আসবে। তাদের মধ্যে উৎসাহ বাড়বে। প্রতিযোগিতা বাড়বে। অভিভাবকদের মধ্যেও ফুটবল সম্পর্কে আগ্রহ বাড়বে। আজ উৎসাহ নেই বলেই বড় ক্লাবগুলি এবং জাতীয় দলে বাঙালি ফুটবলার খুঁজে পাওয়া যায় না।”

স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোষ্ঠীর জানতে চাইছে না। তাদের বক্তব্য, মুষ্টিমেয় কয়েকজন নিজেদের স্বার্থের জন্য এসব পদ্ধতি চালু করতে চাইছেন। এতে বাংলার ফুটবলের উন্নতি তো দূরে থাক, মাঠের বহু প্রতিভা অকালে হারিয়ে যাবে।

দুই ভাইয়ের এই লড়াইয়ের মধ্যে আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় অবশ্য অনেকটাই মেপে পা ফেলতে চাইছেন। তাঁর বক্তব্য, “আমরা কোনও কিছুই চাপিয়ে দেব না। সব সিদ্ধান্ত আলোচনা করে নেব। যে কারণে 11 জানুয়ারি দ্বিতীয় ডিভিশনের ১৪টি ক্লাবকে নিয়ে বৈঠকে বসছি আমরা। সেখানে সর্বসম্মতক্রমে যে সিদ্ধান্ত হবে, আইএফএ তাকেই মান্যতা দেবে।”

আইএফএ সচিব অবশ্য জানিয়ে দেন, তৃতীয় ডিভিশন পর্যন্ত ক্লাবগুলির সঙ্গে আলোচনা করেই তার বয়সভিত্তিক করা হয়েছে। দ্বিতীয় ডিভিশনের ক্লাবগুলির মতামত আমরা নেব। সবাইকে নিয়েই চলতে চায় আইএফএ। বাংলা ফুটবলের স্বার্থে যেটা ভালো, সেটাই করবে আইএফএ।”

Previous articleভিড়ে ঠাসা বর্ধমান স্টেশন চত্বরে ছড়াল আতঙ্ক
Next articleযৌনতার হাতছানি দিয়েই CAA-র সমর্থন চাওয়া?সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবি ঘিরে ঝড়