যৌনতার হাতছানি দিয়েই CAA-র সমর্থন চাওয়া?সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবি ঘিরে ঝড়

এই সব স্ক্রিনশট যদি ঠিক হয়, তাহলে এর পরে আর কোনও শিক্ষিতজন বা মহিলাদের সম্পর্কই রাখা উচিত নয় বিজেপি’র সঙ্গে৷ ভারতীয় রাজনীতিতে সব ধরনের শিষ্টাচার, সৌজন্য, শালীনতা ভেঙে দিয়েছে এই সব স্ক্রিনশট ৷

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই সব ছবি৷ সঙ্গে একাধিক প্রশ্ন, “শেষ পর্যন্ত এ ধরনের চরম যৌনতার হাতছানি দিয়ে CAA-র হয়ে সমর্থন চাইতে নামতে হলো কেন্দ্রের মোদি সরকারকে?” সোশ্যাল মিডিয়ায় শনিবার ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি। টুইটারে ভেসেছে নেট দুনিয়া৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে, শেষে এই পথে যেতে হলো বিজেপিকে ?

প্রথম ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, মহিলাদের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে যৌনতার লোভ দেখানো হচ্ছে। এ ধরনের অ্যাকাউন্ট হামেশাই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়৷ সেই অ্যাকাউন্টে লেখা আছে, ‘”আপনি কি খুব একা?‌ তাহলে ফোন করুন’‌। ‘‌আমার সঙ্গে বন্ধুত্ব করবেন?‌’‌। পোস্টে একটি ফোন নম্বরও দেওয়া আছে। 88662 – 88662 হলো সেই নম্বর। নম্বরটি মাথায় রাখুন৷

এবার আসুন দ্বিতীয় ছবিতে৷

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নাগরিকত্ব আইন বা CAA- সমর্থন চেয়েছেন। একটি ফোন নম্বর দেওয়া আছে শাহের টুইটে৷ বলা হয়েছে, CAA আইনকে সমর্থন করলে এই নম্বরে মিস কল করুন৷ একটি ফোন নম্বর এখানেও দেওয়া আছে৷

এবার নম্বর দু’টি মিলিয়ে নিন৷

যে নম্বরটি টুইটারে পোস্ট করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নাগরিকত্ব আইনের সমর্থন চেয়েছিলেন, সেই হলো 88662 – 88662 নম্বর৷ এবার যৌনতার হাতছানি দেওয়া পোস্টের নম্বরটি দেখুন, সেটিও এক, 88662 – 88662 নম্বর৷
কি আশ্চর্য মিল৷

এখানেই শেষ নয়। আরও একাধিক পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে, সব ক’টি
পোস্ট বা টুইটে সেই এক 88662 – 88662 নম্বর৷৷
প্রতি ক্ষেত্রেই বলা হচ্ছে মিস-কল করুন৷ আবার বিজেপিও বলছে CAA সমর্থন করলে 88662 – 88662 নম্বরে মিস-কল করুন৷ এর পরেও সন্দেহ হবেনা যে, CAA-র সমর্থন পেতে বিজেপি যৌনতার আশ্রয় নিতে ও দু’বার ভাবেনি৷

একটি পোস্ট আবার দেখা গিয়েছে, যেখানে লেখা আছে, ‘”বিনামূল্যে নেটফ্লিস্কের অ্যাকাউন্ট চান?‌ তাহলে 88662 – 88662 নম্বরে মিস কল করুন।”
এই সব স্ক্রিনশট এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল৷ এসব স্ক্রিনশট দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে হাজারো প্রশ্ন৷ কেউ লিখেছেন, “সব পথ রুদ্ধ হয়েছে, তাই কি লোভ দেখিয়ে এখন CAA বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থন পেতে হচ্ছে বিজেপিকে? এক জায়গায় দেখানো হচ্ছে আদিম যৌনতার লোভ। অন্য জায়গায় একটু ঘুরিয়ে টাকার লোভ”।

কেউ লিখেছেন, “CAA- এর সমর্থন পেতে
বিজেপির আইটি সেলের কীর্তি”৷ কমেন্টে লেখা হয়েছে, ‘এত নিচে নামতে পারে কোনও রাজনৈতিক দল ?” লেখা হয়েছে, “কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, CAA থেকে তারা কোনও মতেই পিছিয়ে আসবে না। এই আইনের প্রতিবাদেই উত্তাল গোটা দেশ। এই প্রতিবাদ দেখেই কি কেন্দ্র অথবা বিজেপি নিজেদের শালীনতার সীমানার তলায় নিয়ে গেলো ?”

বিস্মিত নেটিজেনরা! ভয় পেয়েই কি এই ধরনের কুরুচিকর কৌশলের আশ্রয় নিলো কেন্দ্রের শাসক দল ? ‌‌নাকি, কেন্দ্রকে অপদস্থ করতে বিশেষ কোনও মহলের এই কীর্তি ?

[যে সব পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে, সেটাই শুধু তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিবেদনে]

Previous articleঅজিত VS স্বপন লড়াইয়ে রেফারি জয়দীপ! ম্যাচ হবে ১১ই
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ