দু’দশক পেরিয়ে ছোট আঙারিয়ার বাম সন্ত্রাসের স্মৃতি আজও টাটকা, শহীদদের শ্রদ্ধা মমতার

বাম জমানায় নৃশংস হত‍্যা দেখেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর, ছোট আঙারিয়া। সেই সব রক্তে রাঙা সন্ত্রাস আর বীভৎসতার দিনগুলির কথা আজও ভোলেনি সেখানকার মানুষজন। ভোলেননি তৎকালীন বিরোধী নেত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০১ সালে এই ৪ জানুয়ারি বাম সন্ত্রাসের বলি হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। বাম আমলে এই দুই জায়গায় বার বার রক্তাক্ত হয়েছে। উঠে এসেছে শিরোনামে। ছোট আঙারিয়া আজও ভুলতে পারে না বিশ বছর আগের সেই দিনটার কথা।

এদিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক টুইট বার্তায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, “ছোট আঙারিয়ায় ২০০১ সালের ৪ঠা জানুয়ারী তৃণমূল কর্মীদের খুন করা হয়েছিল। অমর শহিদদের জানাই অন্তরের শ্রদ্ধা। ৩৪ বছরের বাম জমানায় রক্তস্নাত রাজনীতির বলি সমস্ত শহিদদেরও জানাই প্রণাম”।

সেদিন অভিযোগ ছিল, ঘরছাড়া তৃণমূল কর্মীরা ছোট আঙারিয়ায় ঘরে ফিরতেই, শুরু হয়েছিল সিপিএমের তাণ্ডব। গুলি করে, কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল পাঁচজনকে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল ঘর-বাড়ি।

সেই স্মৃতির কথা মনে পড়লেই আজও আতঙ্কে কেঁপে ওঠেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “গড়বেতায় থাকতাম, দেখা করতে এসেছিলাম। আমি কোনওক্রমে বেঁচে যাই। যাঁরা বাড়িতে ছিল তাঁদের সবাইকে মেরে দিল। বাড়িটা পুড়িয়ে দিল ৷’’

এখানেই শেষ নয়, ছোট আঙারিয়া বীভৎস সন্ত্রাসের পর থেমে থাকেনি সিপিএম হার্মাদরা। তৃণমূল কর্মীদের উপরে সন্ত্রাস চালানো হয়েছিল গড়বেতা, কেশপুরেও।

Previous articleইরানের বাহিনীতে নিহত সুলেইমানির জায়গায় এলেন ইসমাইল কানি
Next articleউদ্বেগজনক! রাজ্যকে এড়িয়েই ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলায় শুরু হচ্ছে CAA-প্রয়োগ