উদ্বেগজনক! রাজ্যকে এড়িয়েই ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলায় শুরু হচ্ছে CAA-প্রয়োগ

এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় সরকার জানায়নি, কবে থেকে, কীভাবে বা কোন রাজ্য থেকে শুরু হবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রয়োগ৷

এদিকে সূত্রের খবর, বিজেপির শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ শুক্রবার জাতীয় গ্রন্থাগারে এক গোপন বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই CAA- র ভিত্তিতে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। দলের অন্দরে বিজেপি নেতাদের এই প্রচার ইতিমধ্যেই বাইরে ছড়িয়ে পড়ছে৷ ফলে, রাজ্য ফের নতুন করে অশান্তির আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে৷

শীর্ষ নেতৃত্বের বার্তায় বঙ্গ-বিজেপি নেতারা কার্যত নিশ্চিত, বিরোধীদের কোনও আপত্তিই গ্রাহ্য না করেই, এ রাজ্যে আগামী মাস থেকেই লাগু হতে চলেছে CAA বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন।

বঙ্গ-বিজেপি সূত্রের খবর, জাতীয় গ্রন্থাগারে বৈঠকে কলকাতার বিজেপি নেতাদের শিবপ্রকাশ বলেছেন, ‘হাতে একমাসও সময় নেই। ফেব্রুয়ারিতে নাগরিকত্ব প্রদানের কাজ শুরু হবে৷ তার আগেই আপনাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে CAA-বিষয়টি বোঝানোর কাজ শেষ করতেই হবে।” শিবপ্রকাশের মুখে একথা শোনার পরই রাজ্য বিজেপির নেতারা নিশ্চিত হন, আগামী মাসেই এ রাজ্যে CAA প্রয়োগ শুরু হচ্ছে৷ এই বৈঠকেই প্রশ্ন ওঠে, “রাজ্য সরকারের সহায়তা ছাড়া এ রাজ্যে কীভাবে CAA কার্যকর হবে?” বিজেপি অন্দরের এক সূত্র জানিয়েছে, এই প্রশ্নের জবাবে শিবপ্রকাশ বলেছেন, “এই বিধি এমন কৌশলে লাগু করা হবে
যাতে রাজ্য ইচ্ছা করলেও কিছুই করতে পারবে না। আপনারা আশ্বস্ত থাকুন৷” তবে কী সেই “ফরমূলা”, তা এদিন বলেননি শিবপ্রকাশ। এরপরই না’কি বঙ্গ-বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “এই কাজ অনলাইনে চলবে। সবাইকে সক্রিয় ও সতর্ক থাকতে হবে৷ সাধারণ মানুষের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বোঝাতে হবে। যে সময়সীমা নির্দিষ্ট করা হবে, তার মধ্যেই কাজ শেষ করতে হবে।”

এদিকে বঙ্গ- বিজেপি একটি টোল ফ্রি নম্বরে মিসড্ কল দিয়ে CAA- কে সমর্থনের আহ্বান জানানোর সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেছে৷ এই বৈঠকেই ঠিক হয়েছে, রাজ্যের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপির নেতারা বলবেন, যদি CAA-কে সমর্থন করেন তবে নির্দিষ্ট নম্বরে মিস্‌ড কল দিন। প্রতি সপ্তাহে রাজ্যের কত মানুষ মিস্‌ড কলের মাধ্যমে CAA-কে সমর্থন করেছেন, তা দিল্লি থেকে প্রচারও করা হবে।

দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশ শুক্রবার যে ভাষায় আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই CAA কার্যকর করার কাজ শুরুর কথা বলেছেন, তা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে খুবই উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহল।

Previous articleদু’দশক পেরিয়ে ছোট আঙারিয়ার বাম সন্ত্রাসের স্মৃতি আজও টাটকা, শহীদদের শ্রদ্ধা মমতার
Next articleএবার ডোভার লেন সঙ্গীত সম্মেলনে অনন্য উদ্যোগ