রাজধানীর বুকে ১৩ই বিরোধী ঐক্য মঞ্চের প্রস্তুতি

উদ্যোগ মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই উদ্যোগ বাজেট অধিবেশনের আগেই বাস্তবে রূপ পেতে চলেছে।

নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতাকে সামনে রেখে এবার জাতীয় স্তরে এক মঞ্চে আসার পরিকল্পনা বিরোধী দলগুলির। আর এই কারণে আগামী ১৩জানুয়ারি বিরোধী দলগুলো তাদের ঐক্য এবং স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে দিল্লিতে বৈঠক করতে পারেন। সংসদ ভবনের এই বৈঠকে থাকতে পারেন সোনিয়া গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পাওয়ার, এম কে স্ট্যালিন। আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বাম নেতাদের। এছাড়া ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী, নবীন পট্টনায়েক সহ এনআরাসি বিরোধী দলের নেতাদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য জুড়ে এনআরসি-সিএএ বিরোধী যে আন্দোলনের ঝড় তুলেছেন, কার্যত তাতে অনুপ্রাণিত হয়ে একে একে সুর মিলিয়েছে কেরল, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কংগ্রেসশাসিত রাজ্যগুলি। মমতাই প্রথম চিঠি লিখে বিরোধী দলগুলিকে এক মঞ্চে আসার আহ্বান জানান। প্রথম সাড়া দেন সোনিয়া গান্ধী। ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের শপথের সভায় কার্যত বিরোধী নেতাদের একজোট হওয়ার প্রাথমিক খসড়া তৈরি হয়ে যায়। ১৩জানুয়ারি রাজধানীর বুকে দাঁড়িয়ে কার্যত বিরোধী দলগুলি মোদি-শাহ জুটিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর শপথ নিতে চান। কেন্দ্রীয় আইনের বিরোধিতাকে সফল করতে যে সবকটি বিরোধী দলকে দরকার, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন। কারণ, একজোট হওয়া ছাড়া সর্বভারতীয় স্তরে আন্দোলনকে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। ১৩-র বৈঠক থেকে এ নিয়ে যৌথ কর্মসূচির খসড়া যে তৈরি হয়ে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাজেট অধিবেশনের আগেই তাকে সর্বোচ্চ মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা। যাতে অধিবেশনে বিরোধী বিরোধিতায় নাকাল হয় সরকারপক্ষ। বাধ্য হয় তাদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটতে। সংসদ আর সংসদের বাইরে এইভাবেই আপাতত চাপে ফেলার পরিকল্পনা।

Previous articleবাজেট অধিবেশন শুরু কবে?
Next articleরোহিঙ্গা তাড়াব তো বললেন বিজেপি মন্ত্রী, কিন্তু পাঠাবেন কোন দেশে!