সকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট দেখছি। শুভ জন্মদিন মমতাদি।
এটা নব্য তৃণমূল এবং তৎকাল তৃণমূল সমর্থক, এমনকি নতুন নেতানেত্রীদেরও সমস্যা। তা তাঁরা যতই তারকা সাংসদ হোন না কেন।
আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন নয়।
লোকসভার হুজ হুতে এই তারিখটি ছিল, সেই থেকে এককালে রটেছিল।
নেত্রী তাঁর লেখা বইতে এই বিষয়ে লিখেও দেন।
যতদূর জানি, নেত্রীর মা প্রয়াত গায়ত্রী দেবী মেয়ের জন্মতিথি মানতেন দুর্গাষ্টমীর দিনটিকে।
আগে তেমন দিনক্ষণের খুঁটিনাটি ছিল না। স্কুল ভর্তির সময়ে নেত্রীর বাবা এই 5 জানুয়ারি দিনটি দিয়ে দিয়েছিলেন।
কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই দিনটিকে জন্মদিন হিসেবেই ধরেন না।
তৃণমল গন্ডির পুরনো সদস্যরা তাই এই দিনটিতে তাঁকে জন্মদিনের অভিনন্দন জানান না। এমনকি পুরনো দিনের সাংবাদিক বা অন্য দলের নেতারাও জানেন এটা।
সমস্যা হল নব্য ও তৎকাল তৃণমূল নেতা, কর্মীদের নিয়ে।
তাঁরা পুরনো কথা জানেন না। নেত্রীর লেখা বই পড়ার আগ্রহও নেই। এখনকার স্রোতে গা ভাসানোটাই বড় কথা।
ফলে জন্মদিনের শুভেচ্ছার দৃষ্টিআকর্ষণী পোস্ট দিয়ে নেমে পড়লেই হল !
এইসব উপাদান নিয়ে তৃণমূল যে দৌড় অব্যাহত রেখেছে, এটাই একটা বিরাট সাফল্য।