রানি রাসমণি রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের NRC-CAA বিরোধী ধর্নামঞ্চে হঠাৎ অভিযান বাম ছাত্র-যুব সংগঠনগুলির। তখন মঞ্চে ছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মঞ্চের চারপাশে তৃণমূলের বিরাট সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীরা। খুব স্বাভাবিক ভাবে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

পুলিশের তিনটে ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে ধর্ণা মঞ্চের দিকে এগিয়ে যায় বাম-ছাত্র যুবরা। যার ফলে পৃথক মনোভাবাপন্ন ছাত্র-যুবদের সংগঠন মুখোমুখি চলে আসায় ধুন্ধুমার। পরিস্থিতি দেখে মঞ্চ থেকে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দেন তৃণমূল নেত্রী স্বয়ং। তা সত্ত্বেও বাম ছাত্র-যুবদের বিক্ষোভ আটকানো যাচ্ছে না।

তৃণমূলের ছাত্রদের সংখ্যা বেশি থাকায় পিছু হতে SFI DYFI, তারা চলে যায় Y চ্যানেলের দিকে। এবার বিশাল সংখ্যক তৃণমূল ছাত্র যুবরা চ্যানেলের দিকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আরও লোক বাড়ছে তৃণমূল শিবিরে। ধর্মতলায় ব্যাপক জমায়েত করছে তৃণমূল। বাইক , ছোট হাতিতে করে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মতলা আসছে তৃণমূলের লোকেরা। নেত্রীর কড়া নির্দেশ, কোনও পক্ষেরই কোনওরকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। ছাত্র সংঘর্ষ এড়াতে ধর্মতলা চত্ত্বরে বিশাল বাহিনী পাঠাচ্ছে লালবাজার। বাম ছাত্র যুবদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে যাদবপুরের নকশালপন্থী পড়ুয়ারা। অন্যদিকে, ধর্মতলার দখল নিয়েছে তৃণমূল। সেন্ট্রাল এভিনিউ, চিত্তরঞ্জন এভিনিউ, লেলিন সরণি, এস এন ব্যানার্জি রোড, পার্ক স্ট্রিট, স্ট্যান্ড রোডের দিক থেকে প্রচুর তৃণমূল সমর্থক আসছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, “আমাকে ঘেরাও করে, চমকে ধমকে লাভ নেই। আমি জানি সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির আতাত আছে। আমাকে লোক দেখলে, আমিও লোক দেখতে পারি। কিন্তু আমি শান্তির পক্ষে”।
