গেরুয়া লাইনে মহাকাব্যের ‘আজব’ ব্যাখ্যা ধনকড়ের

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আইনজীবী, প্রাক্তন মন্ত্রী, রাজস্থানের প্রাক্তন বিধায়ক, সাংসদ, এখন রাজ্যের রাজ্যপাল। বেগালাম ক্রমশ তাঁর ভাষ্য। ট্যুইট আর সাংবাদিক সম্মেলন করার মজা বুঝেছেন। রোজ খবরে থাকার আনন্দও বুঝেছেন। তাই মহাভারত নিয়ে নতুন তথ্য হাজির করলেন মঙ্গলবার, যা শুনলে রচয়িতা ব্যাসদেব নিশ্চিতভাবে মূর্ছা যেতেন। তবে লক্ষ্য অবশ্যই খবরে থাকা।

মহাভারত নিয়ে প্রথম আজগুবি তত্ত্ব হাজির করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা। বলেছিলেন, আজ নয়, টেস্ট টিউব বেবি মহাভারতের সময়তেও ছিল। সীতাই ছিলেন টেস্ট টিউব বেবি। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আবার উদ্ভট কথা বলায় পিএইচডি করেছেন। তিনি বলেছিলেন মহাভারতের যুগে ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট ছিল। সঞ্জয়ের ভাষ্য তারই প্রমাণ। কূপমণ্ডুকরা তা বিশ্বাস করেন না।

আর কোনও রাজ্যের সাংবিধানিক সর্বোচ্চ পদে থেকেও যে দীনেশ, বিপ্লবের মতো এমন আজগুবি কথা বলা যায় তা প্রমাণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। মঙ্গলবার বিড়লা মিউজিয়ামে বিজ্ঞানমেলার উদ্বোধনে অবৈজ্ঞানিক কথা বলে রাজ্যপালের পদমর্যাদাকে ধুলোয় মেশালেন। ধনকড় বললেন, মহাভারতের সঞ্জয়ের দূরদৃষ্টি ছিল, যার জন্য সবকিছু দেখতে পেতেন। অর্জুনের তীরে ছিল আজকের পরমাণু অস্ত্র, আর বিমান এ যুগের আবিষ্কার নয়, রামায়নের সময়ে আবিষ্কার। পুষ্পক রথ তার বড় উদাহরণ। বিশিষ্টজনেরা বলছেন, শিক্ষিত মানুষ যখন এসব কথা বলেন, তখন মাথায় রাখতে হবে এর পিছনে একটা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য আছে। আর এটা হল যুক্তিবাদী সমস্ত বিষয়কে নস্যাৎ করে মানুষকে কাল্পনিক বিষয়ের উপর বিশ্বাস করতে উদ্বুদ্ধ করা। মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যপালের মতো পদে বসে যখন এ কথা বলেন, তখন তার প্রভাব সাধারণ নাগরিকদের উপর স্বাভাবিক ভাবেই এসে পড়ে। আর এটাই হচ্ছে গেরুয়া রাজনীতির মোটা দাগের চালাকি।

আরও পড়ুন-DSP-গ্রেফতারির পর পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার ফের তদন্তের দাবি অধীরের

Previous articleপ্রয়াত রাজ কাপুর কন্যা ঋতু নন্দা
Next articleলজ্জার হার ভারতের, ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতল অস্ট্রেলিয়া