টানা ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে নাজেহাল হওয়ার আশঙ্কা গ্রাহকদের

ন’টি ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধি ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন ইউএফবিইউ) ঘোষণা করেছে,৩১ জানুয়ারি এবং ১ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী দুই দিনের ধর্মঘট করবে। মজুরি পুনর্বিবেচনার বিষয়ে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশনের (আইবিএ)-এর সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পরেই তাদের এই সিদ্ধান্ত{ এর ফলে ব্যাহত হবে এটিএম পরিষেবাও।
একই সঙ্গে ইউএফবিইউ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী ১১-১৩ মার্চ থেকে তিন দিনের বিক্ষোভ অবস্থানও করা হবে।এমনকি দাবি না মানলে ১ এপ্রিল থেকে তাঁরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
ব্যাঙ্ক সংগঠনের নেতা সঞ্জয় দাস জানিয়েছেন, ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের ১১তম বেতন চুক্তি কার্যকর করার প্রস্তাব পড়ে রয়েছে ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর থেকে। এরপর বেশ কয়েকার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সরকার তার দাবিতে অনড়। সরকার কোনও ভাবেই বাড়াতে চাইছে না। পেনশনের অবস্থাও খুবই খারাপ। এইসব দাবিতেই ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে যাচ্ছেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা।
সংগঠনগুলি পর্যাপ্ত বেতন কাঠামোয় ২০ শতাংশ হারে ওয়েজ সেটলমেন্ট বা মজুরি পুনর্বিবেচনা নিষ্পত্তির দাবি করছে। শেষ বার ১ নভেম্বর, ২০১২ থেকে ৩১ অক্টোবর, ২০১৭ পর্যন্ত কার্যকর মজুরি নিষ্পত্তিতে বেতন ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। তার পর, অর্থাৎ গত ২১ নভেম্বর, ২০১৭ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির কর্মীদের মজুরি পুনর্বিবেচনা স্থগিত রয়েছে।
আইবিএ-র সঙ্গে সর্বশেষ মজুরি পুনর্বিবেচনা সভা গত ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সভায় ইউএফবিইউ কমপক্ষে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছিল। এর আগে অবশ্য ২০ শতাংশ বৃদ্ধির দাবি তুলেছিল সংগঠনগুলি। তবে আইবিএ শেষমেশ এই হার বাড়িয়ে ১২.২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ‘এটি গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে দাবি করেছেন ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্ব।বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস-সহ ব্যাঙ্কের কর্মীদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে মাসের সব সপ্তাহেই ৫ দিন কাজ করবেন তাঁরা । গত বছর তাঁরা দাবি তুলেছিলেন মাসের দুটি সপ্তাহে তাঁরা পাঁচ দিন কাজ করবেন। একই সঙ্গে বেসিকের সঙ্গে বিশেষ ভাতার সংযুক্তিকরণ এবং সপ্তাহের পাঁচ দিন কাজের দাবি তুলেছে সংগঠনগুলি। অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে নতুন পেনশন প্রকল্প বাতিল করা, পারিবারিক পেনশনের উন্নতি এবং ঘণ্টার হিসাবে অফিসারদের জন্য কাজের সময় নির্ধারণ। বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের একত্রীকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও আওতাভুক্ত হয়েছে এই ধর্মঘটের কর্মসূচিতে।

Previous articleবিস্ফোরক দিলীপ : পুলিশের বন্দুক থাকে আইনভঙ্গকারীকে গুলি চালানোর জন্যই!
Next articleবিশ্বভারতীর ঘটনার নিন্দা করে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর