কবিতা লিখে ইতিমধ্যেই CAA-র প্রতিবাদ তিনি করেছেন৷ গানও বেঁধেছেন তিনি৷

এবার ক্যানভাসে প্রতিবাদ। তুলি হাতে রাজপথে ছবি আঁকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওনার সঙ্গে থাকবেন বাংলার একদল বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে মমতা সহ 40জন শিল্পীকে দেখা যাবে তুলি হাতে। আগামী 28 জানুয়ারি ময়দানে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে দুপুর থেকে শুরু হবে শিল্পীদের এই নজিরবিহীন প্রতিবাদ। পদযাত্রা, ধর্না, পথসভার মাধ্যমে নাগরিকত্ব বিতর্ক নিয়ে ইতিমধ্যেই মমতা CAA-NRC বিরোধী প্রতিবাদে উজ্জ্বল ভূমিকা নিয়েছেন। ‘আমরা সবাই নাগরিক’ গানও বেঁধেছেন তৃণমূল নেত্রী।

এবার মমতার উদ্যোগে অভিনব প্রতিবাদে অংশ নেবেন ৪০ জন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী৷ ৪০টি কালো- ক্যানভাসে রং-তুলিতে নীরব প্রতিবাদের সাক্ষী হবে কলকাতা৷

রাজনৈতিক কর্মসূচির পরিচিত ছকের বাইরে গিয়ে শিল্পীদের প্রতিবাদ আগেও হয়েছে শহরে। ২০০২ সালে গুজরাতের দাঙ্গার পর শিল্পীরা ধর্মতলায় ছবি এঁকেছিলেন। সেই ছবি অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে নিলাম হয়েছিল। যার উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। নিলামের অর্থ দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণে পাঠানো হয়েছিল। সেদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পাশে ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পী শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য৷ এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগের পুরোভাগেও তিনিই। শুভাপ্রসন্ন জানালেন, ওইদিন দুপুর ১টা থেকে ছবি আঁকা শুরু হবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও ওইদিন পেশাদার শিল্পীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তুলি-রং নিয়ে ছবি আঁকতে রাস্তায় নামছেন, এমন ঘটনা বেনজির।শুভাপ্রসন্ন বলেন, এবার আড়াই ফুট বাই আড়াই ফুটের আলাদা আলাদা ক্যানভাস থাকবে। শিল্পীরা নিজেদের মতো করে সেখানে তাঁদের প্রতিবাদের ভাষা ফুটিয়ে তুলবেন। পরবর্তীতে এইসব ছবির প্রদর্শনী করার বিষয়েও ভাবনা চিন্তা রয়েছে। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক নাগরিক আন্দোলনে পার্ক সার্কাসে একটি জনসভা হয়। সেখানে বিশিষ্ট শিল্পী, সাহিত্যিক, সংস্কৃতি জগতের প্রতিনিধিদের সভায় হাজির হয়েছিলেন মমতা। সেখানেও একটি বড় ক্যানভাসে একাধিক শিল্পীর সঙ্গে ছবি এঁকেছিলেন মমতা।
