সুপারিশে চাকরি হচ্ছে অথচ যোগ্যরা চাকরি পাচ্ছেন না। প্রকাশ্য সভায় বললেন শিক্ষামন্ত্রী। শনিবার সবং কলেজের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এখানে আসার পথে চায়ের দোকানে এক যুবতীর সঙ্গে দেখা। ঘাটালের বাসিন্দা ওই যুবতী পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিতে স্বামীর সঙ্গে এসেছিলেন। বহুবার পরীক্ষা দিয়েও চাকরি হয়নি বলে তাঁর কাছে আক্ষেপ করেন তরুণী। বাড়িতে তাঁর রয়েছেন বৃদ্ধ মা। মহারাষ্ট্র সোনার দোকানে কাজ করতে গিয়েছেন কম বয়সী দুই ভাই। স্বামীর উপার্জনও খুবই কম। এরপরই শিক্ষামন্ত্রী বিতর্ক উস্কে দিয়ে বলেন, আমরা যারা জিন্দাবাদ-জিন্দাবাদ করি, তাদের একটা অভ্যাস রয়েছে গ্রুপ ডিতে ঢুকিয়ে দিন বলে অনুরোধ-উপরোধ করা। এই সুযোগে মামা-ভাইপোরা সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যাদের যোগ্যতা রয়েছে তারা পান না। সব যোগ্যদের আমরা চাকরি দিতে পারি না।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, পার্থ হঠাৎ একথা কেন বললেন? বিরোধীরা অনেক আগে থেকেই অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ারও অভিযোগ তুলেছে বারবার। শিক্ষামন্ত্রীর এ হেন মন্তব্যে একটি মহল মনে করছে, চাকরিতে সুপারিশে বিরক্ত শিক্ষামন্ত্রী। তিনিও বুঝতে পারছেন এইভাবে বেশ কিছু চাকরি হওয়ার জেরে কাজের ক্ষেত্রে মানও কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে যোগ্য প্রার্থীদের ভিড় বাড়ছে, ক্ষোভও বাড়ছে। সেই ক্ষোভের আঁচ প্রশমনেই আত্মসমালোচনায় মগ্ন শিক্ষামন্ত্রী।
সবংয়ের পথে দেখা হওয়া সেই তরুণীকে একটা ব্যবস্থা করে দেবেন বলে শিক্ষামন্ত্রী কথা দিয়েছেন। এমন অসংখ্য যোগ্য তরুণীর কী হবে, সেই প্রশ্ন কিন্তু উঠে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-পাঁচিল টপকানোর স্বীকৃতিতে রাষ্ট্রপতির পুলিশ মেডেল