
প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা।
ধর্মনিরপেক্ষ ভারত শক্তিশালী হোক।

শুধু দেশ ও রাজ্যব্যাপী উৎসব, দেশপ্রেমের প্রতিযোগিতা ও নাগরিকত্ব ইস্যুতে বিপ্লবের মধ্যে ছোট্ট একটি নিবেদন।

আমাদের বাংলার উত্তর চব্বিশ পরগণার হাড়োয়ায় চৌহাটা আদর্শ বিদ্যাপীঠ স্কুলে আট বছর সরস্বতী পুজো বন্ধ।
এবার পড়ুয়ারা বহু আবেদনেও অনুমতি পায় নি। তারা শুক্রবার পথ অবরোধ করেছিল। বিকেলে একদল পুজোবিরোধী দুষ্কৃতী তাদের উপর হামলা করে। এলাকায় তান্ডব চালায়।
এখনও জট খোলে নি।
প্রধান শিক্ষক নিরাপত্তার কারণে অনুমতি দিতে ভয় পাচ্ছেন।
প্রশাসন নিষ্ক্রিয়।
অধিকাংশ মিডিয়া নীরব।

গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, বিপ্লব, শাহিনবাগ, এখানে ওখানে ধর্ণা, বুদ্ধিজীবীদের কবিতা চলছে চলুক।
তার আগে ঐ স্কুলটিতে সরস্বতী পুজোর অনুমতিটা দিয়ে দিলে হত না?
আমি বিজেপি নই। আমি বিজেপির বিরুদ্ধে। কিন্তু আমাদের একপেশে আর মেকি ধর্মনিরপেক্ষতার জন্যেই বিজেপি তাদের তাস খেলার সুযোগ পাচ্ছে। শুধু বিজেপিবিরোধী বিবৃতি না দিয়ে প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ নীতি নিক সরকার, প্রশাসন, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী ও মিডিয়া।

যাঁরা নাগরিকত্ব নিয়ে বিজেপির বিরোধিতা করছেন, একশোবার করুন।
কিন্তু একইভাবে বলুন কেন স্কুলে সরস্বতী পুজো করার জন্য ছাত্রদের অবরোধে বসতে হবে আর তার উপর হামলা হবে?
প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর – কোথায়?
কোথায় ছাত্র সংগঠন আর ছাত্র নেতারা?
দেশ আর অন্য রাজ্যে কোথায় কী হচ্ছে, কী হওয়া উচিত, এসব জ্ঞান বিতরণ চলুক। তার আগে আমাদের ছোট্ট সমস্যাটা সমাধান করে নিলে হত না?

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে দাবি করছি,
অবিলম্বে চৌহাটা আদর্শ বিদ্যাপীঠে সরস্বতী পুজোর অনুমতি দেওয়া হোক। এবং শুক্রবার বিকেলের হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

বাংলার স্কুলে নিরাপত্তার ভয়ে সরস্বতী পুজো করতে দেওয়া যাবে না, মানতে পারছি না।

জয় হিন্দ্।

