আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ই হোক বা দিল্লির শাহিনবাগ, নাগরিক আন্দোলনের মঞ্চ থেকে ভারত ভাগের আওয়াজ তুলে বিতর্কের কেন্দ্রে সারজিল ইমাম, ঘটনাচক্রে যিনি আবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। প্রকাশ্য জনসভায় দাঁড়িয়ে ভারত ভাগের ডাক দেওয়ার পর আলিগড় ও অসমে দেশদ্রোহের অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে শাহিনবাগ আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা সারজিলের বিরুদ্ধে। যে ভিডিওটিকে কেন্দ্র করে বিতর্ক বেঁধেছে তাতে সারজিলকে প্রকাশ্যে ভারতকে ভাগ করার কথা বলতে শোনা যাচ্ছে। এই ভিডিও প্রকাশ্যে এনে বিজেপি নেতারা বলছেন, এটা যদি দেশদ্রোহ না হয় তবে দেশদ্রোহ কোনটা? দিল্লির ভোটের আগে এই ভিডিওই এখন মেরুকরণের অন্যতম হাতিয়ার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, যে আন্দোলনে ভারত ভাগের আওয়াজ ওঠে তাকেই সমর্থন করছেন বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। দিল্লির ভোটারদের ঠিক করতে হবে তারা গোটা দিল্লিকেই শাহিনবাগ বানাতে চান কিনা!

শাহিনবাগের উদ্যোক্তা সারজিল ইমামের ভারত ভাগের ডাক দেওয়া ভিডিওটিতে অসম নিয়েও উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলতে শোনা যাচ্ছে তাঁকে। যেখানে তিনি বলছেন 5 লক্ষ মানুষকে সঙ্গে পেলেই তিনি অসমকে পুরোপুরি ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। শুধু তাই নয়, সরকার বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে শাহিনবাগের কায়দায় জাতীয় সড়কগুলিতে চাক্কা জ্যাম করার হুমকি দিতেও শোনা যাচ্ছে এই যুবককে।

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভারতীয় ইতিহাসের ছাত্র সারজিল ইমাম বম্বে আইআইটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট হন। এরপর কিছুদিন শিক্ষকতাও করেন। দিল্লি পাবলিক স্কুলে পড়াশুনো করা উচ্চশিক্ষিত ও মেধাবী এই ছাত্র দেশভাগের ডাক দিয়ে উত্তাপ বাড়িয়েছেন জাতীয় রাজনীতিতে।