বিক্ষোভ থামিয়ে সমাবর্তন শুরু করলেন সোনালিই

যাদবপুরের পরের পুনরাবৃত্তি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের। মঙ্গলবার, সমাবর্তনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে ফিরতে হল রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড়কে। উপাচার্যের পৌরহিত্যেই শুরু হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। একমাসেও আগে ২৪ ডিসেম্বর, সে দিনটাও ছিল মঙ্গলবার। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন আচার্য। গাড়ির মধ্যে প্রায় দেড়ঘণ্টা বসে থেকে ফিরে যেতে হয় তাঁকে। একমাস চারদিন পরে আবার এক মঙ্গলবারে একই ঘটনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে। সেখানে গিয়েও আচার্যকে শুনতে হল ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। কিন্তু কিছু পার্থক্য রয়েছে। এখানে গাড়ি থেকে নেমে প্রেক্ষাগৃহ যান রাজ্যপাল। মঞ্চের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান ছাত্ররা। মঞ্চে যেতে পারেননি ধনকড়। কিন্তু সেদিন যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ছিলেন অন্তরালে। বিক্ষোভ থামানোর কোনও উদ্যোগ তাঁকে নিতে দেখেননি কেউই। রাজ্যপাল চলে যেতে তিনি অনুষ্ঠান শুরু করেন। যাদবপুরেও উপাচার্যের পৌরহিত্যে সমাবর্তন হয়। কিন্তু কলকাতায় উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই মাউথপিস নিয়ে বিক্ষোভ থামানোর উদ্যোগ নেন। ছাত্রদের বারবার আশ্বাস দেন তিনিই ডিলিট দেবেন সবাইকে। শুধু তাই নয়, উপাচার্য জানান, তিনিই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাম্মানিক ডিলিট উপাধি দেবেন। এই কথাতেই কাজ হয়। থেমে যায় বিক্ষোভ। যে অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান ছাত্ররা সেই জায়গাটিও ছেড়ে দেওয়া হয়। আপাত শান্ত পরিস্থিতিতে শুরু হয় অনুষ্ঠান।

ফের উত্তেজনা ছড়ায়। আবার মাইক হাতে নেন সোনালি। ছাত্রদের আশ্বস্ত করেন, তিনিই অনুষ্ঠানের পৌরহিত্য করবেন। ফের বিক্ষোভ থামে। যাদবপুরের মতো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনেও রাজ্যপাল থাকতে পারলেন না। কিন্তু সামনে থেকে সক্রিয়ভাবে ছাত্রদের শান্ত করে সমাবর্তন পরিচালনা করে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করলেন উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়।